মুজিববর্ষে উপহার হিসেবে নগরবাসীর জন্য সড়কে এলইডি বাতি দিতে চান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। নতুন বছর ২০২১ সালে নগরবাসী এই লাইট পাবে বলে আশা করছেন ঢাকার উত্তরের নগরপিতা। মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) ডিএনসিসির গুলশান নগর ভবনে এলইডি লাইট স্থাপনে ডিএনসিসি ও বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ) মধ্যে অনুষ্ঠিত এক চুক্তি সই অনুষ্ঠানে একথা জানান আতিকুল ইসলাম।

এলইডি সড়ক বাতি স্থাপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ডিএনসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ও বিএমটিএফ এর মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) লে. কর্নেল তোফায়েল আহমেদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।এসময় আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ৪২ হাজার ৫শ লাইট ২০২১ সালের মধ্যে স্থাপন করতে পারবো। নগরবাসীর জন্য এটি হবে ২০২১ সালে নববর্ষের উপহার। জানুয়ারি মাসের ১ তারিখে ডিএনসিসির কিছু অংশে এ লাইট জ্বলবে। নগরবাসীর জন্য নিরাপদ ঢাকা শহর করার জন্য আমরা যে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলাম, সেই প্রত্যয়ের মধ্যে একটি হলো ঢাকা শহরকে আলোকিত করে উজ্জ্বল রাখা।

আমরা যে লাইটগুলো স্থাপন করছি তার প্রত্যেকটা ইউরোপে তৈরি। এগুলোর প্রত্যেকটির ১০ বছরের ওয়ারেন্টি পিরিয়ড দেওয়া আছে। বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি কাজটি সুচারুরূপে বাস্তবায়ন করবে। ওয়ারেন্টি পিরিয়ডে রক্ষণাবেক্ষণের কাজটিও বিএমটিএফ করবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় এলইডি সড়ক বাতি সরবরাহ ও স্থাপন (১ম সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পটি গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর তারিখে পরিকল্পনা কমিশন অনুমোদন দেয়। সংশোধিত প্রকল্প ব্যয় ৩৬৯ কোটি ১৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা। মূল প্রকল্পে ৪২ হাজার ৪৫০টি সড়ক বাতি স্থাপনের কথা থাকলেও সংশোধিত প্রকল্পে ৪৬ হাজার ৪১০টি এলইডি বাতি স্থাপন করা হবে।

এর মধ্যে ১৫০ ওয়াটের ৩ হাজার ৪০৮টি, ১২০ ওয়াটের ৩ হাজার ৬৪৬টি, ৯০ ওয়াটের ৩ হাজার ২৯টি, ৬০ ওয়াটের ১০ হাজার ৬৬৬টি, ৪০ ওয়াটের ২৫ হাজার ৬৬১টি এলইডি বাতি। এলইডি সড়ক বাতি স্থাপন বাবদ ৩১৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যয় হবে। এর মধ্যে রয়েছে বাতি কেনা, পোল কেনা ও স্থাপন, ব্র্যাকেট, ফিটিংস, কন্ট্রোলিং সিস্টেম, সফটওয়্যার, ওভারহেড ক্যাবলস ইত্যাদি। সড়ক বাতিগুলো পোল্যান্ড থেকে কেনা হচ্ছে। অবশিষ্ট ৪৯ কোটি ৪০ লাখ ৩২ হাজার টাকা ব্যয় হবে হাইড্রোলিক গাড়ি ও অন্য গাড়ি, যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য খরচ বাবদ। সমগ্র প্রকল্পটির কাজ চলতি বছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে সময় কয়েক মাস বেশি লাগতে পারে বলে জানিয়েছে ডিএনসিসি।

এসময় অন্যদের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, বিএমটিএফ এর পরিচালক (বিপণন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশরাফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।