দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার মূলে কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অপরাধী যদি দলের লোকও হয় তাকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা একথা বলেন। বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ সম্পূরক প্রশ্ন করেন।

কতিপয় জনপ্রতিনিধিদের প্রতি হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপরাধীদের রক্ষা করতে আসবেন না। সরকার কোনো অপরাধকেই প্রশ্রয় দিচ্ছে না। ঘোড়াঘাটের ইউএনওর ওপর হামলাকারীদের পাশাপাশি এ ঘটনায় ইন্ধন দাতাদেরও খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। সম্প্রতি দুর্বৃত্তের নির্মম হামলায় গুরুতর আহত হন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম। আজও তিনি মুত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। সরকারের মাঠ প্রশাসনের এই কর্মকর্তা কখনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন কিনা, তা এখনও অনিশ্চিত।
সংসদের চলমান অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, জড়িত কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গোয়েন্দা সংস্থাসহ সব বাহিনী সক্রিয় রয়েছে। অপরাধীকে ভিন্ন চোখে দেখার সুযোগ নেই।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, কিছু কিছু মানুষ বলছে চুরি, তবে শুধু চুরি না। আরও কী আছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। এ ঘটনায় পেছনে কারা মদদ দিয়েছে তাদেরও খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। সব বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। আমরা কিন্তু ইতোমধ্যে অপরাধী শনাক্ত করা বা যাদেরকে ধরা হয়েছে এবং এর পেছনে তাদের সঙ্গে আরও কারা কারা জড়িত আছে, কাদের মদদে করেছে, সেটাও কিন্তু তদন্ত করা হচ্ছে। এটা খুব ভালোভাবেই তদন্ত হচ্ছে, তদন্তে কোনো ঘাটতি নেই এবং ঘাটতি হবে না। অপরাধী ঠিকই শাস্তি পাবে, সে ব্যবস্থা করবো। অন্তত এইটুকু বলতে পারি। আমি এটাও বলবো যে, আমাদের কেউ যেন, আপনারা মাননীয় সংসদ সদস্যরাও, যারা সদস্য আছেন, সংসদ সদস্যদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে মাননীয় সংসদ সদস্যরাও যেন এই ধরনের অপরাধীদের কখনো রক্ষা করার চেষ্টা না করেন। অপরাধ যে করে, আর অপরাধীদের রক্ষা করে সমানভাবেই তারা দোষী।

৭৫ পরবর্তী সরকারগুলোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে দেশে অন্যায়ই ছিল নিয়ম, সেই দেশকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা সহজ কাজ নয়। অতীত নিয়ে টেনে কথা বলি কেন? অতীত থেকে শিক্ষা নিয়েই আগামী দিনের চলার পথ নির্দিষ্ট করতে হয়। তা না হলে শিক্ষা হয় না। যেকারণেই অতীততে স্মরণ করতে হয়।