প্রথম আলো পত্রিকায় ১২/০৯/২০২০ তারিখে উপরোক্ত শিরোনামে প্রকাশিত বিবৃতি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বিবৃতিতে প্রকাশিত ‘‘মেয়াদোত্তীর্ণ স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক বর্তমান প্রশাসনের পক্ষ নিয়ে ইউজিসিতে চিঠি লিখেছেন”-এর তীব্র প্রতিবাদ করছি। গত ৩০/০৮/২০২০ তারিখে ইউজিসিতে প্রেরিত পত্রে প্রশাসন কিংবা অন্য কারো পক্ষ নিয়ে কোন বক্তব্য লিখা হয় নি। সেখানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমুর্তি ও সম্মান রক্ষা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রদত্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ সমুন্নত রাখতে ঘটনাস্থল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে তদন্ত বা শুনানী পরিচালনার জন্য ইউজিসির তদন্ত কমিটিকে আহ্বান জানানো হয়েছে। এখানে কোনরূপ বিভ্রান্তির অবকাশ নেই। এতে বাদী বা বিবাদী কোন পক্ষেরই কোন অসুবিধা হওয়ার কথা নয়, তদন্ত বিঘিœত হওয়ার কোন অবকাশ নেই বরং অনেক বিতর্ক এড়ানো সম্ভব। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ সর্বদাই সব সময়ের সব ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রতিকার চেয়েছে।
করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতির কারণে দলীয় সাধারণ সভা ও স্টিয়ারিং কমিটির নির্বাচন করা সম্ভব না হলেও গঠনতন্ত্রের ৫(চ) অনুসারে কমিটি কার্যকর আছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে গঠনতন্ত্র অনুসারে দলীয় সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্টিয়ারিং কমিটির নির্বাচন করে নির্বাচিত কমিটির নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে।

এখানে উল্লেখ্য যে, ০২/০৯/২০২০ তারিখে ইউজিসি তাঁর পত্রে জানিয়েছেন যে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয়ের অনুরোধেই তাঁরা শুনানীর আয়োজন করেছেন। কিন্তু শুনানীর স্থান ইউজিসিতে হবে এটা তাঁরাই ঠিক করেছেন। এ ক্ষেত্রে শুনানীর স্থান ইউজিসির পরিবর্তে ঘটনাস্থল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে করার আহবান জানানোর মধ্যে তদন্ত বা শুনানী বিঘিœত করা বা প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ও শিক্ষাঙ্গন গঠনের অঙ্গিকারের অন্তরায় তো নয়ই বরং সরজমিনে এসে তদন্ত বা শুনানী তাঁর অঙ্গিকারকে আরও স্বচ্ছ ও দৃঢ় করবে। প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের ঐক্য বজায় রাখার স্বার্থে সকলকে ধৈর্যশীল ও একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়াই কাম্য।

প্রফেসর ড. এম মজিবুর রহমান
আহ্বায়ক
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী
প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।