অবৈধ বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, শপসাইন, প্রজেক্ট সাইন অপসারণের ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে মেয়র মো.আতিকুল ইসলাম ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতালসহ সকলের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আপনারা ব্যবসা করবেন, অবশ্যই নিজ নিজ জায়গায় ব্যবসা করবেন। কিন্তু সিটি করপোরেশনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে, আইনকে অমান্য করে ঢাকা শহরে ব্যবসা করতে পারবেন না। অভিযান চলাকালে অনেকেই ফোন করে অনুরোধ করছেন জানিয়ে মেয়র তাদের উদ্দেশে বলেন, অনেকে অভিযান চলাকালে সময় চাইছেন। কেউ বলছেন আমার সাইনবোর্ডটা ভাঙবেন না। কেউ কেউ আমাকে বলছে আপনি তো ফোন রিসিভ করেন না, আমি সবাইকে বলতে চাই। যখন কোর্ট চলবে ভাঙা-ভাঙি চলবে আমাকে কেউ ফোন করবেন না। ফোন করলেও আমি ধরব না।

শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বনানী-১১ এর প্রবেশ মুখে বনানী ক্লিনিক লি: ও ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাইনবোর্ড ভেঙে দেওয়ার সময় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মেয়র। এ সময় পাশে ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, গত চারদিন ধরে আমরা গুলশান-বনানী, বাড়িধারা এবং প্রগতি স্মরণির বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েছি। অভিযানরে মূল উদ্দেশ্যে গুলশান-বনানী-বাড়িধারার এবং প্রগতি স্মরণিতে যে সকল অবৈধ বিলবোর্ড এলইডিসাইন, শপসাইন বসানো হয়েছে সেগুলো ভেঙে দেওয়া।বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, শপসাইন ও এলইডি সাইনের মালিকদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, আপনারা যা কিছু করেন, সবকিছুর অনুমতি নিতে হবে সিটি করপোরেশন থেকে। সব কিছুর একটা আইন আছে নীতিমালা আছে। কিন্তু আমরা দেখছি নীতিমালার তোয়াক্কা না করে, না মেনে যে যার মত করে সাইনবোর্ড, শপসাইন, এলইডি সাইন লাগাচ্ছেন। যখনই আমরা অভিযানে যাচ্ছি, তারা বলছে আমরা জানি না। কিন্তু কেনো? যখন ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছেন তখন তো বলেছেন ট্রেড লাইসেন্সে সাইনবোর্ডের মাপ দিয়েছেন ৩ ফুট ৪ ফুট, এখন কেন ৩০ ফুট, ৪০ ফুট? সাইনবোর্ডের অনুমতি নিয়ে যদি এলইডি সাইন লাগান অবশ্যই সেটা অবৈধ।

মেয়র বলেন, এই অভিযান ধারাবাহিকভাবে চলবে। আগামী মাসে অন্য এলাকায় চলে যাব। ডিএনসিসির সকল এলাকাতেই চলবে এই অভিযান। এই অভিযানকে আরো জোরদার করার জন্য আমরা ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের জন্য আবেদন করেছি। পর্যাপ্ত জনবল পেলে আমাদের এই কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে চলবে।

বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড তো বহু বছর ধরেই লাগাচ্ছে এতদিন কেন বলেন না এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আমি পেছনে ফিরে যাব না। অবশ্যই সিটি করপোরেশনের দেখা উচিত ছিল। কিন্তু আমাদের তো জনবলও থাকতে হবে। তাছাড়া যারা সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড লাগান ওনারা নিজেকে অনেক ক্ষমতাধর বলে মনে করেন। ওনারা মনে করেছেন এখানে সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড লাগাব, এই জায়গায় কেউ আমাদের সাইনবোর্ডে হাত দিতে পারবে না। তাদের উদ্দেশে বলছি সেই দিন শেষ। এখন যেখানেই সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, শপসাইন থাকবে যদি সিটি করপোরেশনের অনুমতি না থাকে সেটা অবৈধ এবং অবৈধ কোনো ধরনের সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড থাকতে পারবে না।

অভিযান চলাকালে ফোন না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, এই শহরটা তো ছোট আমরা সাবাই সবাইকে চিনি। ফোন না করে আপনারা সহযোগিতা করুন, অবৈধ সকল ধরণের বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড হোক সব ভেঙে নতুন প্রজন্মকে সুন্দর শহর উপহার দিতে চাই। সময় এসেছে জবাব দেওয়ার। আসুন সবাই মিলে সবার ঢাকা গড়ি।