অবশেষে ৫ দিন পর এলসির টেন্ডারকৃত আটকে পড়া পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১১টায় সোনামসজিদ স্থল বন্দর দিয়ে এসব পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনামসজিদ শুল্ক ষ্টেশনের সহকারি কাষ্টমস কমিশনার সাইফুর রহমান। তিনি জানান, বেলা ১১টা থেকে বিকেল পর্যন্ত এ সময় ৮টি ট্রাকে ২১৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়।’
সোনামসজিদ স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি তৌফিুকর রহমান জানান,‘ ১৪ সেপ্টেম্বরের আগে খোলা এলসির বিপরীতে আটকে পড়া পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। আজ সেই আটকে পড়া ২১৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজই মূলত আমদানি হয়েছে।’
এদিকে ব্যবসায়ী বলছেন আমদানিকৃত পেঁয়াজের অধিকাংশ পেঁয়াজই পচে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে তারা আর্থিকভাবে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছেন।
পানামা র্পোট লিংক লিমিটেডের র্পোট ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম জানান,‘ আমদানিকৃত পেঁয়াজের অধিকাংশই পচে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। তিনি আরও জানান, ভারতের ওপারে মোহদীপুর স্থলবন্দরে আটকে পড়ে পেয়াজের গাড়িগুলো পরবর্তী এলসিতে আসার অপেক্ষায় আছে। যদিও ভারতীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পাওয়ায় বেশিরভাগ গাড়িই আবার ফিরে যাচ্ছে পেঁয়াজগুলো পচে যাওয়ায় কারনে।’
এদিকে, বন্দরে পেঁয়াজের গাড়ী প্রবেশের খবরে স্থানীয় বাজারে কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে গেছে পেঁয়াজের দাম। বাজারে আজ ৫০-৫৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।
তবে ওপারে কি পরিমান গাড়ি আটকা পড়েছে এ বিষয়ে বন্দর সংশ্লিষ্ট কেউই সঠিক তথ্য দিতে পারেনি এমনকিআগামীকাল পেঁয়াজ আমদানি হবে কিনা সে বিষয়টিও নিশ্চিত করতে পারেনি।