স্বাস্থ্য সচিব মো. আবদুল মান্নান বলেছেন, করোনার দ্বিতীয় প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। এরইমধ্যে হাসপাতাল, চিকিৎসক ও নার্স সংক্রান্ত সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। করোনার ভ্যাকসিন বাংলাদেশ ট্রায়াল নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে সোমবার দুপুরে তিনি একথা বলেন।

সারাবিশ্বে ৯টি কোম্পানি ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য সচিব জানান, এদের মধ্যে পাঁচটি কোম্পানির সাথে বাংলাদেশের যোগাযোগ চলছে। এরই মধ্যে যারা বাংলাদেশে ট্রায়াল শুরু করতে চেয়েছে, তাদের কাছে আইসিডিডিআরবির মাধ্যমে চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছি, কি প্রক্রিয়ায় ট্রায়াল শুরু করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ভ্যাকসিনের জন্য অর্থ বরাদ্দ আছে। যেকোনো সময় চাইলে আমরা তা ব্যবহার করে, ভ্যাকসিন সংগ্রহ করতে পারবো। ১০০ মিলিয়নের উপরে টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর উপরে প্রয়োজন পড়লেও অন্য যে কোনো প্রকল্প থেকে নেয়া হবে। আড়াই থেকে তিন মিলিয়ন ভ্যাকসিন প্রাথমিকভাবে চাওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী আগাম বুকিংয়ের প্রস্তুতি করা হচ্ছে।

‘ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে একটি নীতিমালা করা হবে। যারা ফ্রন্টলাইনার ও বয়োবৃদ্ধ, তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে’ বলেও জানান তিনি। এসময় তিনি বলেন, দুর্নীতি করে পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যারাই দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকুক, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে শক্ত অবস্থানে। সাবেক মহাপরিচালকের গাড়িচালক এখনও কেন বরখাস্ত হচ্ছে না, এ ব্যাপারে আজই জানতে চাওয়া হবে।