নীলফামারীর সৈযদপুর উপজেলায় গৃহবধুসহ শিশুকে অপহরণের দায়ে লুৎফর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও বিশ হাজার টাকা অর্থদন্ডের রায় প্রদান করা হয়েছে। বুধবার(২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) আহসান তারেক ওই দন্ডাদেশ প্রদান করেন।

দন্ডপ্রাপ্ত লুৎফর রহমান কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার মৃত রহিম উদ্দিন ঠাকুরের ছেলে। সে দীর্ঘ দিন থেকে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার ধলাগাছ গ্রামে বসবাস করছিলেন।
মামলার বিবরনে জানা যায়, সৈয়দপুর উপজেলার ধলাগাছ গ্রামের রাজমিস্ত্রি মতিয়ার রহমানের স্ত্রী মোছা. ছাবিয়া খাতুনকে (২২) নানা রকম প্রলোভন দিয়ে প্রায় সময় কু-প্রস্তাব দিতেন প্রতিবেশী লুৎফর রহমান। কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ২০০৪ সালের ১০ জুন দুপুরে স্বামী মতিয়ার রহমানের অনুপস্থিতিতে গৃহবধু ছাবিয়া খাতুন ও তার শিশু কন্যাকে বাড়ির সামনে থেকে অপহরন করে নিয়ে যায় লুৎফর রহমান।
এঘটনায় গৃহবধুর স্বামী মতিয়ার রহমান বাদী হয়ে লুৎফর রহমানকে একমাত্র আসামী করে ২০০৪ সালের ১৬ জুন সৈয়দপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৭ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলা তদন্ত শেষে সৈয়দপুর থানার তৎকালিন সময়ের উপ-পরিদর্শক বাবুল আক্তার আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। উক্ত চাজশীটের ভিত্তিতে ২০০৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর আসামীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধীত/০৩) এর ৭ ধারার অপরাধ বিচারার্থে আমলে নেয় আদালত। এর পর ২০০৮ সালের ১২ মে আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রমেন্দ্র নাথ বর্ধন বাপী বলেন, স্বাক্ষ্য প্রমানে সন্দেহাতিত ভাবে প্রমান হওয়ায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ডা দেশ দেন আদালতের বিজ্ঞ বিচারক।আসামী লৎফর রহমান পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতে ওই দন্ডাদেশ প্রদান করেন বিজ্ঞ বিচারক বলেও জানান তিনি।

 

সুজন মহিনুল,বিশেষ প্রতিনিধি॥