বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুই প্রতিবেশী দেশ আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। এতে দুই দেশের কমপক্ষে ২৩ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও শতাধিক মানুষ। গতকাল রোববারের এ সংঘর্ষে নিহত হওয়া ১৮ জন আর্মেনিয়ার আর বাকি পাঁচজন আজারবাইজানের।

কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দুই দেশ আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান ১৯৯০ এর দশকে যুদ্ধে জড়ায়। বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল আজারবাইজানের ভূমি হিসেবে পরিচিত হলেও তা আর্মেনিয়ার আধিবাসীদের দখলে রয়েছে। গতকাল রোববার এ অঞ্চল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই দেশ। সংঘর্ষে আর্মেনিয়ার ১৬ জন বিচ্ছিন্নতাবাদীর মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে আহত হয়েছে আরও শতাধিক। এ সংঘর্ষে আর্মেনিয়ায় আরও দু’জন বেসামরিকের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন নারী ও একজন শিশু। এ ছাড়া আর্মেনিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গোলাবর্ষণে আজারবাইজানের একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।

সংঘর্ষের জন্য আর্মেনিয়া বলছে, আজারবাইজান প্রথমে বিমান ও কামান দিয়ে হামলা শুরু করেছে। পরবর্তীতে তারা সামরিকভাবে এর জবাব দেওয়া শুরু করেছে এবং সামরিক বাহিনী ওই অঞ্চলে হামলার জন্য সংঘবদ্ধ হয়েছে। আর আজারবাইজান বলছে, চারদিক থেকে শুরু হওয়া গোলাবর্ষণের জবাব দিয়েছে তারা। দু’পক্ষই জানিয়েছে যে, এই সংঘাতে বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে বিরোধ চলছে। গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার তারা সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে।

এ দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ বন্ধ করতে আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দু’দেশকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কর্ণপাত করেনি আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান সরকার। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানও সংঘর্ষ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে এই যুদ্ধ পরিস্থিতি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘও।