গণতন্ত্রহীন রাষ্ট্রে আজ নারীরা কোথাও নিরাপদ নয় মন্তব্য করে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দেশের কোথাও আমাদের মা-বোনেরা নিরাপদ নয়। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বিধানে সরকার পরিপূর্ণ ব্যর্থ। পথে যারা চলে তারা নিরাপদ নয়, আর আমাদের জীবনতো এমনিতেই নিরাপদ নয়। একদিকে করোনা, নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি, আবার আছে পুলিশের নির্যাতন।

শুক্রবার (২ অক্টোবর) তোপখানার বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি আয়োজিত “দেশব্যাপী নারী নির্যাতন : কোন পথে বাংলাদেশ ?”-শীর্ষক নাগরিক বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এমসি কলেজে নারী থর্ষনের দায় কি কলেজ কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে ? বছরের পর বছর অবৈধভাবে এরা ক্যাম্পাসে থাকে কি ভাবে ? তাদের শক্তির উৎস কি ? ধর্ষকারী-ধর্ষনকারী, তাদের বিচার সর্বোচ্চ মৃতু্যদন্ড হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, মানবতা বাচাতে, নারীর সতিত্ব বাচাতে, দেশের সতিত্ব বাচাতে সাহস নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সকলকে মাঠে নামতে হবে। মানুষের পিঠ দেয়া ঠিলে গেচে। এক পর্যায়ে তারাই প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। কারো জন্য, কোন নেতা বা দলের জন্য অপেক্ষা করবে না।

সংগঠনের চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা’র সভাপতিত্বে ও মহাসচিব এডভোকেট সাইফুল ইসলাম সেকুলের সঞ্চালানায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, বক্তব্য রাখেন তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি মুহম্মদ মফিজুর রহমান লিটন, বাংলাদেশ শিক্ষক ইউনিয়ন অতিরিক্ত মহাসচিব মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ প্রিন্স, মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদউল্লাহ দুলু, নারী নেত্রী মিসেস ফেরদৌসি আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন আল আমিন, উপস্থিত ছিলেন ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, নারী নেত্রী মির্জা শেলী, ডা. আসমা আক্তার মৌসুমী, এলিজা রহমান, মিস চম্পা প্রমুখ।

বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, অপরাধীরা নারী ও শিশু নির্যাতনের মতো মনুষ্যত্বহীন বর্বর খেলায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ধর্ষকদের কঠিন শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারলে এই অপরাধ বন্ধ হবে না। সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগ কর্তৃক স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ ও খাগড়াছড়িতে মানসিক ভারসাম্যহীন আদিবাসী নারীকে গণধর্ষণের ঘটনাকে জাতির জন্য আরেকটি কলঙ্কজনক অধ্যায়।

তিনি বলেন, দেশব্যাপী প্রায় প্রতিদিনই সন্ত্রাসীদের দ্বারা এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলেও সরকার নির্বিকার আর আইনের শাসনের অনুপস্থিতির কারনেই অপরাধীরা নারী ও শিশু নির্যাতনের মতো বর্বর খেলায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

সভাপতির বক্তব্যে মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, আইনের শাসন নিশ্চিত করতে নারী নির্যাতনকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। দেশের মানুষ বিচারব্যবস্থার ওপর আস্থা রেখেই নির্যাতনে অভিযুক্তদের শাস্তি দেখতে অপেক্ষা করে আছে।