এখন বাংলাদেশের পরিস্থিতি ফরাসি বিপ্লবের সময়ের মতো। সেই সময় ফ্রান্সের নাগরিকরা কমিটি করেছিলেন, যার নাম ছিল ‘কমিটি ফর পাবলিক সেফটি’।আজকে আমাদের মা-বোনদের নিরাপত্তার জন্যও সে ধরনের কমিটি করতে হবে। সোমবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে জিয়াউর রহমান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনামূলক নাটক নির্মাণের প্রতিবাদে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ফরাসি বিপ্লবের সময়ে যেমন শব্দবন্ধ চালু হয়েছিলো-‘রেইন অব টেরর’ ত্রাসের রাজত্ব। আজকে এখানেও সেই ত্রাসের রাজত্ব বিরাজ করছে। ফরাসি বিপ্লবের সময় ফ্রান্সের নাগরিকরা কমিটি করেছিলেন, কমিটি ফর পাবলিক সেফটি। এখন বাংলাদেশের নাগরিক সমাজ যারা যে যেখানে আছেন তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পাড়ায়-মহল্লায় সেই ধরনের কমিটি করে পাহারা দিতে হবে। তা নাহলে সরকারি দলের যুব ও ছাত্র সংগঠনের করাল গ্রাস থেকে আমার-আপনার প্রত্যেকের মা-বোন-কন্যাকে রক্ষা করা যাবে না। এদেরকে রক্ষা ও নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য এখন ফরাসি বিপ্লবের মতো কমিটি করে যুবলীগ-ছাত্রলীগকে প্রতিহত করতে হবে। না হলে এই প্রশাসন দিয়ে কিছু করা যাবে না।

বেগমগঞ্জের ঘটনার বিষয়ে রিজভী বলেন, এই ঘটনাটি ঘটেছে ২ সেপ্টেম্বর, এটা কেন গতকাল প্রকাশিত হলো, এটা একটা বিরাট প্রশ্ন। নোয়াখালীর প্রশাসন কিছুই জানে না। মানবতার বিরুদ্ধে এত বড় ঘটনা আর হতে পারে না, যেটা বেগমগঞ্জে হয়েছে। কি বীভৎস্য, কি পৈশাচিকতা তা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। দেশ কোনো আইনে চলছে, কার আইনে চলছে।

সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েলের পরিচালনায় মানববন্ধনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের গোলাম সারোয়ার, আনু মোহাম্মদ শামীম আজাদ, ইয়াসীন আলী, সাদরেজ জামান, আখতারুজ্জামান বাচ্চু, মহানগর দক্ষিণের নজরুল ইসলাম ও উত্তরের গাজী রেজওয়ানুল হোসেন রিয়াজ বক্তব্য রাখেন।