ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ এবং আমাদের ঐতিহ্য ও গৌরব দেশের মোট মৎস উৎপাদনের ইলিশের অবদান ১৪.৫ ভাগ এবং একক প্রজাতি হিসেবে সর্বোচ্চ। প্রজনন মৌসুমের জন্য ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে ইলিশের বিপণন, পরিবহন, বেচাকেনা ও মজুদ।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবার) সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসন ও মৎস অধিদপ্তর এর আয়োজনে ইলিশের ডিম ছাড়ার প্রধান মৌসুমে ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২০ উপলক্ষে প্রেস ব্রিফিং এ এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড.রহিমা খাতুন। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন,মাছ বাজার,মৎস আড়ত,মাছ ঘাটসহ গুরুত্বপূর্ন জনবহুল স্থানে মাইকিং,ব্যানার,পোষ্টার স্থাপন ও লিফলেট বিতরন করা হবে এবং জেলেদের ব্যাবহারকৃত ইঞ্জিন চালিত নৌকা আটক করে নদী সংলগ্ন খালে সিকল দিয়ে সারিবদ্ধ ভাবে বেধে রাখা হবে।অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়নের জন্য পাঁচজন নির্বাহী মেজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে ৫টি মোবাইল টিম কাজ করবে এবং জাটকা সংরক্ষণ, মা ইলিশ সংরক্ষণ,জাটকা নিধন বন্ধে কঠোর অবস্থান এবং দিনে ও রাতে ২৪ ঘন্টা নৌ পুলিশের নেতৃত্বে নদী পাহাড়া দেওয়া হবে। সর্বপরি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২০ শতভাগ সফল হবে। এছাড়া তিনি আরো বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় নিষিদ্ধ সময় জেলেদের জন্য চালের বরাদ্ধ দেয়া হবে। মাদারীপুর জেলার ৪ হাজারটি জেলে পরিবারের জন্য ৮০,০ মে. টন চাল বরাদ্ধ পাওয়া গেছে এর মধ্যে শিবচরে ৩০৮০টি পরিবার, মাদারীপুরে ৩৬০টি পরিবার ও কালকিনি ৫৬০টি পরিবারে এ সুবিধা পাবে ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ জাকির হোসেন বাচ্চু, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা ইয়াসমিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুউদ্দিন গিয়াস, মাদারীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা প্রমথ রঞ্জন ঘটক, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো: মাহবুবুল হক, ,সহকারি কমিশনার রেকসোনা খাতুনসহ জেলার প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রিনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

সাবরীন জেরীন,মাদারীপুর।