বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের চার নেতাকে তুলে নেয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিল সংগঠনটি। ওই চারজনের দুইজনকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতা করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তারা হলেন- বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম ও সংগঠনটির ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হুদা।

রোববার (১১ অক্টোবর) রাতে রাজধানী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) রাজীব আল মাসুদ। সোমবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ তুলে ঢাবির এক ছাত্রীর দায়ের করা মামলার চার নম্বর আসামি মো. সাইফুল ইসলাম ও পাঁচ নম্বর আসামি মো. নাজমুল হুদাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দুপুরে গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতে সোপর্দ করা হচ্ছে। মামলার বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এর আগে রোববার (১১ অক্টোবর) দুপুরের দিকে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের চার নেতাকে পুলিশ তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে।

এ বিষয়ে রাতে ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ও ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে মামলা আছে।

এরমধ্যে নাজমুলকে দুপুরে কে বা কারা তুলে নিয়ে যায়। এছাড়া ছাত্র অধিকার পরিষদের দুই নেতা সোহরাব হোসেন ও আসিফ মাহমুদকে সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে গেছে। রাশেদ খান বলেন, সারাদেশে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনকে দমানোর জন্য এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিতে সরকার এ কাজ করছে।