নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে করা মামলায় ২০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া গুলি উদ্ধারের মামলায় তাদের ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১২ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশত্যাগের সময় পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট, ১১ হাজার ৪৮১ ডলার, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের কিছু মুদ্রা ও দু’টি ডেবিট কার্ড জব্দ করে।

গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন- পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন (৩৮), সাব্বির খন্দকার (২৯) ও শেখ তায়্যিবা (২২)। ওইদিন রাতেই নরসিংদীর বাসায় এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে হোটেল ওয়েস্টিনে তাদের নামে বুকিং করা বিলাসবহুল প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটে অভিযান চালানো হয়।

এছাড়া ফার্মগেট এলাকার ২৮ নম্বর ইন্দিরা রোডে অবস্থিত রওশন’স ডমিনো রিলিভো নামক বিলাসবহুল ভবনে তাদের দু’টি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দু’টি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ ও নগদ ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, বিদেশি মুদ্রা, বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি ভিসা ও এটিএম কার্ড জব্দ করে র‌্যাব।

ওই ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র আইনে একটি, বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি এবং বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা করা হয়। গত ২৯ জুন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) র‌্যাবের উপ-পরিদর্শক আরিফুজ্জামান অস্ত্র আইনে মামলায় পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুরের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

২৩ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুরের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। এ সময় তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন। ৩১ আগস্ট মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মামলায় ১২ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনই আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।