গাজীপুরে শ্রীপুরের এক বাড়িতে পোশাক কর্মী এক যুবতী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। সোমবার এ ঘটনায় প্রতিবেশী অপর এক পোশাক কারখানার কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতের নাম- আশরাফুল আলম (২২)। সে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার নয়নপুর মল্লিকবাড়ী এলাকার মোঃ তকুমুদ্দিনের ছেলে।

শ্রীপুর থানার এসআই সোহেল রানা ও স্থানীয়রা জানান, শ্রীপুরের চকপাড়া এলাকার হাজী আব্দুস ছাত্তারের বাড়িতে ভাড়া থেকে ২৫বছরের এক যুবতী স্থানীয় নাইস স্প্যান টেক্সটাইল পোশাক কারখানায় হেলপার পদে চাকুরি করেন। স্বামীর মৃত্যুর পর একমাত্র সন্তানকে গ্রামের বাড়িতে রেখে সে শ্রীপুরের এ পোশাক কারখানায় চাকুরি নেয়। একই বাড়ির পার্শ্ববর্তী কক্ষে দিনাজপুরের খানসামা থানার গোয়ালডিহি গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩৩) ভাড়া থেকে স্থানীয় আলাউদ্দিন টেক্সটাইল মিলে চাকুরি করে। জাহাঙ্গীর ও তার বন্ধু একই বাড়ির ভাড়াটিয়া আশরাফুল গত কয়েকদিন ধরে ওই নারী গার্মেন্টস কর্মীকে উত্যাক্ত করে আসছিল।

তারা জানান, প্রতিদিনের মতো রবিবার রাতের খাবার খেয়ে বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। এসময় রাত সোয়া ১২টার দিকে বারান্দার টয়লেটের উপরের ফাঁকা অংশ দিয়ে ওই যুবতীর ঘরে ঢুকে আশরাফুল। এসময় দরজা খুলে দিলে জাহাঙ্গীর ঘরে ঢুকে। তারা ঘুমন্ত যুবতীর মুখ চেপে ধরে হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে তারা ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক একাধিকবার পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে। রাতভর ধর্ষণ শেষে সোমবার ভোরে ঘটনা গোপন রাখার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ভিক্টিম ডাকচিৎকার শুরু করে। এসময় আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ধর্ষক আশরাফুল ও জাহাঙ্গীরকে হাতেনাতে আটক করলেও কৌশলে জাহাঙ্গীর পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। এসময় ক্ষুব্ধ লোকজন আটক আশরাফুলকে উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।

শ্রীপুর থানার ওসি খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, ধর্ষণের এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ মামলার প্রধান আসামী আশরাফুল আলমকে গ্রেফতার করেছে। ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।