ইলিশ মাছের প্রজনন মৌসুমে ‘মা ইলিশ’ রক্ষার্থে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ সরকার। ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্র সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে মৎস্য সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, ইলিশের ভরা প্রজনন মৌসুমে দেশের নির্দিষ্ট উপকূলীয় এলাকায় ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ বুধবার থেকে ৪ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত মোট ২২ দিন দেশের প্রজনন এলাকায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ সময় আইনানুযায়ী, সারা দেশে ইলিশ মাছের আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ এবং কেনা বেচা নিষিদ্ধ থাকবে।

উক্ত ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২০’ পরিচালনায় কোস্ট গার্ড তৎপর ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের দায়িত্বাধীন এলাকায় জনসচেতনতা তৈরি করতে ইতোমধ্যে লিফলেট বিতরণ, পোস্টারিং, মাইকিংসহ নানাভাবে প্রচারণা চালানো হয়েছে।

অভিযানের প্রথম দিনে আজ বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ঢাকা জোনের জোনাল কমান্ডার ও ঢাকা বিভাগীয় মৎস্য কর্মকর্তা ও ঢাকা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কোস্ট গার্ডের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ঢাকার সোয়ারী ঘাট এলাকায় জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ ও টহল প্রদান করেন।

কোস্ট গার্ড জানায়, ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২০’ সফল করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড কর্তৃক একক ও যৌথভাবে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করা হবে। এ সময় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এর পাঁচটি ঘাঁটি, ২৩টি ছোট-বড় জাহাজ এবং ৫৮টি স্থায়ী ও ৪টি অস্থায়ী কন্টিনজেন্ট এর সদস্যগণ শতাধিক কোস্ট গার্ড বোট ও সিভিল বোটের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন নদীতে সর্বদা টহলে নিয়োজিত থাকবে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ঢাকা জোনের জোনাল কমান্ডার এ টি এম রেজাউল হাসান বলেন, আজ থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের প্রজনন এলাকায় সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ সময় আইনানুযায়ী, সারা দেশে ইলিশ মাছের আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ এবং কেনা বেচা নিষিদ্ধ থাকবে। বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের দায়িত্বাধীন এলাকায় জনসচেতনতা তৈরি করতে ইতোমধ্যে লিফলেট বিতরণ, পোস্টারিং, মাইকিংসহ নানাভাবে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

ঢাকা বিভাগীয় মৎস্য কর্মকর্তা সৈয়দ মো. আলমগীর বলেন, আজ থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই ২২ দিন জেলেদের সরকারের পক্ষ থেকে ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।

নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে যদি কারও কাছে একটি ইলিশও পাওয়া যায় তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ঢাকা বিভাগীয় মৎস্য কর্মকর্তা সৈয়দ মো. আলমগীর। এদিকে, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, ডাকাতি দমন, জননিরাপত্তার পাশাপাশি অবৈধ জাল দিয়ে মাছ আহরণ, জাটকা নিধন ও মা-ইলিশ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।