গাজীপুরের শ্রীপুরে প্রেমিকার কাছে প্রমাণ করতে গিয়ে স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) এএসপি পচিয়দানকারী এক প্রতারক বৃহষ্পতিবার মাওনা হাইওয়ে থানা পুলিশের কাছে ধরা পড়েছে। তার নাম কাওসার (২৮)। সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর থানার মজিদপুর গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে।

মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি এ আর এম আল মামুন জানান, বৃহষ্পতিবার দুপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় এক যুবতীকে সঙ্গে নিয়ে আসেন কাওসার। এসময় ওই এলাকায় দায়িত্ব পালনরত হাইওয়ে পুলিশের কন্সটেবলদের কাছে তিনি নিজেকে গণভবনে পুলিশের এসবি’র সিনিয়র এএসপি হিসেবে পরিচয় দিয়ে ৩১তম বিসিএস এ নিয়োগ পেয়েছেন বলে জানান। বিষয়টি আমাকে মোবাইল ফোনে জানানো হলে আমি তাদেরকে উড়াল সেতুর নীচে পুলিশ বক্সে বসিয়ে আপ্যায়নের জন্য বলি। পরে আমি পুলিশ বক্সে এসে দেখি ওই ব্যক্তি আমার চেয়ারে বসে আছে। তার কথাবার্তা ও আচরন সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে প্রকৃত পরিচয় স্বীকার করে। এসময় তার সঙ্গে থাকা ওই যুবতী কৌশলে সটকে পড়েন। আটককৃতের কাছ থেকে গণভবনের একটি পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) এবং বাংলাদেশ পুলিশের লগো ও বাংলাদেশ পুলিশ লেখা যুক্ত ফিতা (গলায় ঝুলানোর) জব্দ করা হয়েছে।

ওসি আরো জানান, গত কয়েকদিন আগে ওই যুবতীর সঙ্গে সিনিয়র এএসপি হিসেবে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় কাওসারের। পচিয়ের সূত্র ধরে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। যুবতীর কাছে কাওসার নিজেকে এএসপি প্রমাণ করতে এসেছিল বলে আটক কাওসার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। এ ঘটনায় সরকারী কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে শ্রীপুর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মনবাড়ীয়া সদর থানায় সরকারী কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারনার অভিযোগে মামলা রয়েছে।