পাবনার সুজানগরে জামাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুড় ও শ্যালকের বিরুদ্ধে। নিহত রাজন হোসেন (৪৫) পাবনা সদর উপজেলার বাংলাবাজার মহল্লার আশরাফ আলীর ছেলে। রোববার দিবাগত রাতে সুজানগর উপজেলার মধুপুর গ্রামে ওই হত্যার ঘটনা ঘটে। সোমবার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রোববার রাত ৮টার দিকে উক্ত রাজন মটরসাইকেলযোগে শ্বশুর বাড়ি মধুপুর গ্রামে বেড়াতে যায়। রাত ১১টার দিকে স্ত্রী কামরুন্নাহারের সাথে তার বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে সে স্ত্রীকে মারপিট করে। এরই জের ধরে তার শ্বশুর এবং শ্যালকসহ বাড়ির অন্য সদস্যরা তাকে বেধড়ক মারপিট করলে সে মারা যায়। এ অবস্থায় সোমবার ভোর ৫টার দিকে শ্বশুর কায়ুম খান এবং শ্যালক আব্দুর রাজ্জাক নিহত রাজনকে ভ্যানযোগে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগে নিয়ে গিয়ে অসুস্থতার কথা বলে ডাক্তারদের চিকিৎসা দিতে বলেন। ডাক্তার তাকে চিকিৎসা দিতে গেলে সুকৌশলে তারা পালিয়ে যায়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ সেলিম মোরশেদ জানান, রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য কাছে গিয়ে পরীক্ষা করে দেখা যায় অনেক আগেই রোগী মারা গেছেন। ডাক্তার তখন নিহতের স্বজনদের ( যারা হাতপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন) খুঁজে আর পান না।

সুজানগর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। এ দিকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একই গ্রামের ভ্যান চালক শামীমকে (৩০) আটক করেছে।