স্বপ্নাদেশ পালন করতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় গোপনে দুর্গাপূজা করতে গিয়ে আলেমা বেগম নামে এক নারীকে আটক করে আনসার ভিডিপির টহল দল। ফলে এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। শনিবার (২৪ অক্টোবর) দিবাগত রাতে ওই মহিলাকে পশ্চিম নওদাবাস বাবুপাড়া রাধা গোবিন্দ মন্দির থেকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

আটক মোছাঃ আলেয়া বেগম পশ্চিম বেজগ্রাম এলাকার মোঃ হারুন উর রশিদের স্ত্রী বলে জানা গেছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক জানান, ওই মন্দিরে বোরকা পড়া এক মহিলা প্রবেশ করে মন্ডবের কাছে গিয়ে বসে পড়েন। এ সময় উপস্থিত ভক্তদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে, আনসার ও ভিডিপি’র ১৯নং টহল দল মন্দিরে গিয়ে পুরো মন্ডব ঘিরে ফেলেন। নানা কৌশলে ওই মহিলাকে আটক করেন আনসার ও ভিডিপি’র টহল দল। পরে তাকে হাতীবান্ধা থানায় সোর্পদ করা হয়েছে।
এবিষয়ে পরে কথা হলে আলেয়া বেগম জানান, স্বপ্নাদেশ পালন করতে ঐ মন্দিরে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিমাকে ভক্তির জন্য গিয়েছিলাম। তবে তার মাঝে অন্য কোন অসৎ উদ্দেশ্য ছিলো না জানান আলেয়া বেগম।
পূজামণ্ডপ কমিটির সভাপতি প্রদিপ কুমার বর্মন বলেন, বোরখা পড়া মহিলাটি পূজামণ্ডপে প্রবেশ করলে ভক্তকুলের মাঝে আতংক সৃষ্টি হয়। পরে আনসার ভিডিপির টহল দল এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হাতীবান্ধা থানার পু‌লিশ প‌রিদর্শক (ওসি) মোঃ এরশাদুল আলম জানান, ওই মহিলা মূলতঃ মাজার ভক্ত। যাকে আমরা ভান্ডারী বলে থাকি। ওই মহিলার দাবী স্বপ্নে তাকে পূজা মন্ডবে মোমবাতি দিতে বলেছে তাই ওই মহিলা বোরখা পড়ে মন্ডবে মোমবাতি নিয়ে গিয়েছিলো। পরে, তাকে স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় দেয়া হয়েছে বলেও জানান ও‌সি।