অন্যের মাস্টার্স ডিগ্রির সনদ জালিয়াতি করে পদে বহাল থাকার অপচেষ্টা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে মাদারীপুরে একটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মাস্টার্স ডিগ্রির প্রকৃত সনদধারীর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ জালিয়াতির ঘটনাটি ঘটেছে শিবচর শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিদ্যালয়টি বেসরকারি থাকাকালে ২০১৪ সালে ২৬ নভেম্বর বিএ বিএড যোগ্যতা দেখিয়ে প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। পরবর্তীতে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ ঘোষণার পর পরিপত্র জারি করা হলে প্রধান শিক্ষকের জন্য মাস্টার্স ডিগ্রি আবশ্যক হয়। যে ব্যক্তির এমএ পাসের সনদের রোল, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, সেশন জাল করে প্রধান শিক্ষকের পদ বহাল রাখার অপচেষ্টা করা হচ্ছে সেই মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম গত ২৪ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় জিডি করেছেন। (জিডি নং- ১৫০৮)। এছাড়াও বিএড এবং এমএড সনদও জাল বলে দাবি করেন অন্যান্য শিক্ষকরা।

অপরদিকে, শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো. জহিরুল ইসলাম ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অফিস সহকারীর লিখিত অভিযোগের সূত্র মতে জানা যায়, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম যখন প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন (ইনডেক্স নম্বর-৩৪০৫৩৫) তখন তিনি বিএ, বি,এড শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করে চাকরিতে আবেদন করেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে ৪ এপ্রিল বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হয়। জাতীয়করণের পর থেকেই প্রধান শিক্ষক তার ব্যক্তিগত শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য বিভিন্ন সময় তার সুবিধামতো একেক রকম তথ্য প্রদান করেন। চলতি বছরের ২৪ অক্টোবর শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এমএ পাস করা সনদের ফটোকপি পত্র জমা দেন।

সাবরীন জেরীন,মাদারীপুর।