দেশে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা গত ৫৮ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। সবশেষ গত ২১ সেপ্টেম্বর এর চেয়ে বেশি মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; সেদিন ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

এ ছাড়া গত একদিনে আরও ২ হাজার ২১২ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা গত ৭৬ দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্তের খবর সর্বশেষ এসেছিল গত ২ সেপ্টেম্বর; সেদিন ২ হাজার ৫৮২ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ার খবর জানানো হয়েছিল।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশে করোনার সবশেষ পরিস্থিতির এই তথ্য জানায়। এতে বলা হয়েছে, নতুন ২ হাজার ২১২ জনকে নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৬৮৪ জন হয়েছে। আর গত একদিনে ২১ জনের মৃত্যুতে দেশে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬ হাজার ২৫৪ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, গত এক দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৭৪৯ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এতে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ৫২ হাজার ৮৯৫ জনে দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তা ২৬ অক্টোবর ৪ লাখ পেরিয়ে যায়। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত ৪ নভেম্বর তা ছয় হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন একদিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৪তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩২তম অবস্থানে। বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতিমধ্যে সাড়ে ৫ কোটি পেরিয়ে গেছে; মৃতের সংখ্যা ১৩ লাখ ২৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।