করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনার আরেকটি ধাক্কা আসছে। প্রথমবারের অভিজ্ঞতা দিয়ে দ্বিতীয় ঢেউও মোকাবেলায় সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে।

রোববার (২২ নভেম্বর) সকালে গণভবন থেকে তিনটি সেতু উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান সরকার প্রধান। বলেন, মহামারির এই প্রকোপের মধ্যে মানুষকে সুরক্ষা দেয়াই সরকারের লক্ষ্য। সেভাবেই সরকার কাজ করছে। বিশেষ করে অর্থনীতির চাকা যেন সচল থাকে সে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমরা সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে দ্বিতীয় ধাক্কাও সরকারের পক্ষে সামলানো সম্ভব।

সরকার করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের জন্য আগাম বুকিং দিয়ে রেখেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ভ্যাকসিন আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ পাবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সারাদেশে যোগাযোগব্যবস্থার নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। এর দ্বারা সচল হয়েছে দেশের অর্থনীতির চাকা। সরকারের ধারাবাহিকতার কারণেই তা সম্ভব হয়েছে।

সরকার প্রধান বলেন, বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলসহ সারাদেশের যোগাযোগব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হবে। এতে অর্থনীতির চাকা আরও সচল হবে। পদ্মা সেতুর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন যেন সহজ হয় সে লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন এলাকায় নতুন নতুন সেতু নির্মাণ করছে।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলাধীন মুড়াপাড়া ফেরিঘাট রাস্তায় শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর ১০০০০ মিটার চেইনেজে ৫৭৬.২১৪ মিটার দীর্ঘ ‘বীরপ্রতীক গাজী সেতু’র উদ্বোধন করেন। এ ছাড়াও তিনি মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলাধীন মধুমতি নদীর উপর এলাংখালী ঘাটে ৬০০.৭০ মিটার দীর্ঘ ‘শেখ হাসিনা সেতু’; যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলায় সড়ক ও জনপথের যশোর-খুলনা সড়কের ভাঙ্গাগেট (বাদামতলা) হতে আমতলা জিসি ভায়া মরিচা, নাউলী বাজার সড়কে ভৈরব নদীর ওপর ৭০২.৫৫ মিটার দীর্ঘ সেতু; এবং পাবনায় ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলম বকুল স্বাধীনতা চত্বর’ উদ্বোধন করেন। উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন শেষে সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রান্ত থেকে দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, মাগুরা, নারায়ণগঞ্জ, যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও পাবনার বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলম বকুল স্বাধীনতা চত্বরে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মতবিনিময় করেন শেখ হাসিনা।