ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ধানক্ষেতের একটি মোটর হাউজে আটকে পড়া দুটি বিষধর কালাচ সাপ উদ্ধার করেছে চট্টগ্রামের ভেনম রিসার্চ সেন্টারের কর্মকর্তারা। গতকাল বুধবার রাতে তারা এশিয়ার সবচেয়ে বিষধর প্রজাতির এই সাপ দুটি উদ্ধার করেন।

বিকেলে ঝিনাইদহের শৈলকুপার চতুড়া গ্রামের ধান ক্ষেতের মোটর হাউজে সাপ দুটিকে দেখতে পেয়ে শৈলকুপার নেচার অ্যান্ড ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার আবীর হাসান চট্টগ্রামের ভেনম রিসার্চ সেন্টারের কর্মকর্তাদের জানান। পরে তারা সাপ দুটি মোটর হাউজ থেকে উদ্ধার করেন। আবীর হাসান জানান,এ অঞ্চলে বিষধর কমন ক্রেইট প্রজাতির সাপ দেখতে পাওয়া যায়, এ সাপ এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সর্বাধিক ‘বিষধর’ বলে পরিচিত। স্থানীয়ভাবে এই সাপকে কালাচ বলা হয়। তবে ঝিনাইদহসহ এ অঞ্চলে এ সাপকে কানন বোড়া বলা হয়ে থাকে। ইংরেজিতে এ সাপের নাম কমন ক্রেইট।

চট্টগ্রামের ভেনম রিসার্চ সেন্টারের প্রশিক্ষক বোরহান বিশ্বাস জানান, বেশিরভাগ সময় আত্মরক্ষার্থে গোখরা কামড় দেয় তবে বিষ ঢালে না। কিন্তু এই কমন ক্রেইট সাপের শতভাগ কামড়েই বিষ ঢালে। আর তাদের কামড় সাধারণত ভুক্তভোগীরা টের পায় না। কারণ,এই সাপগুলোর কামড়ের দাগ বা রক্তপাতের জ্বালাপোড়া করে না। ফলে নীরব ঘাতকের মতো এই সাপের কামড়ে মানুষ দ্রুত মারা যায়। এই জাতীয় সাপের ফনা থাকে না, দেখতে কালোর উপরে সাদা চক্র থাকে। চক্রগুলো গলার নিচ থেকে লেজ পর্যন্ত হয়। এরা ইঁদুর বা খাবারের খোঁজে লোকালয়ে মানুষের ঘরে চলে আসে আর ঘুমন্ত মানুষ বেশি কামড়ের শিকার হয়। প্রায়ই শৈলকুপাসহ নানা এলাকায় এ সাপের কামড়ে মৃত্যু ঘটছে বলেও জানান তিনি ।

বোরহান বিশ্বাস রোমন আরও জানান, উদ্ধার করা সাপ থেকে ভেনম নিয়ে বাংলাদেশে এন্টি ভেনম বানানো হচ্ছে, যেটা সরকারিভাবে ফ্রি দেওয়া হবে।