ভ্যাকসিন বাজারে আসার সাথে সাথেই বাংলাদেশ পাবে। এর ব্যবস্থাপনা কীভাবে হবে তার প্রস্তুতি নিতে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘করোনার দ্বিতীয় পর্যায় কীরকম হবে আমরা জানি না। তাই সব রকম প্রস্তুতি নিতে হবে, সচেতন হতে হবে। এর জন্য যা যা করা দরকার তার সবকিছুর নির্দেশনা দিয়েছি।’

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গণভবন থেকে ১১৬ তম, ১১৭ তম ও ১১৮ তম আইন ও প্রশাসনের প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। করোনা দুর্যোগের মধ্যেও এই প্রশিক্ষণ চলমান রাখায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান। এ সময় মহামারি মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি নিজে মানার পাশাপাশি কর্মস্থল এবং আশপাশের সবাই যেন মেনে চলে, তা নিশ্চিত করতে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের নির্দেশ দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এদেশের মানুষের ভাগ্যটা কীভাবে পরিবর্তন করবেন বঙ্গবন্ধুর চিন্তা সেটাই ছিল। আমরা বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরা এগিয়ে চলেছি। বাংলাদেশের জন্য আমরা দীর্ঘ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘২০১৫ সালে শতভাগ বেতন বৃদ্ধি ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা করে দিয়েছি। সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য আমরা যত সুবিধা করে দিয়েছি তা আর কেউ করেনি। আপনারা কোনও মানুষকে অবহেলার চোখে দেখবেন না। মানুষ যাতে ন্যায় বিচার পায় তা দেখতে হবে। বিভিন্ন সমস্যা যেমন-ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, মাদক, দুর্নীতি এসবের বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, অন্যদের মেনে চলায় সচেতন করতে হবে।’