মীর আনিস/ফরিদপুর প্রতিনিধি: আসন্ন মধুখালী পৌরসভা নির্বাচন বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড ও ফেস্টুনে সয়লাব। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মেয়র, কাউন্সিল প্রার্থী এবং ক্ষতাসীন দলের বিভিন্ন নেতা-কর্মীরা এসব বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, পোস্টার ও ফেস্টুন সাঁটানোর প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। পোষ্টারে ঢাকা পড়েছে মধুখালী। মেছড়দিয়া মোড় থেকে বাজারে দাড়িয়ে যেদিকেই তাকাই শুধু পোষ্টার আর পোষ্টার। কোনোটা মেয়র প্রার্থীর, কোনোটা কাউন্সিলর প্রার্থীর। কোনোটা নৌকার, কোনোটা ধানের শীষের প্রতীক সংবলিত পোস্টার। কোনোটা আনারস; কোনোটা চশমা, উটপাখি বা ডালিমের। কোনোটা ঝুলানো, কোনোটা ছেঁড়া। কোনোটা আবার পলিথিন দিয়ে মোড়ানো, যাতে বৃষ্টিতে ভিজে বা বাতাসে ছিঁড়ে না যায়। কোনো কোনো পোস্টার সুতো ছিঁড়ে রাস্তায় গড়াগড়ি দিচ্ছে। আবার সুতা ছিঁড়লেও ঝুলে আছে কোনো কোনো পোস্টার। এ দৃশ্য মেছড়দিয়া মোড় থেকে বাজারেই নয়; ৯টি ওয়ার্ডের চিত্রই এখন অভিন্ন। পথ-প্রান্তর, রাস্তাঘাট, বিদ্যুতের খুঁটি, গাছের ডাল- সবই এখন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পোস্টারে ঠাসা। এত পোস্টারের দৌরাত্ম্যে বদলে গেছে মধুখালীর চেহারা। এবার প্রচারে যে লাগামহীন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সাম্প্রতিক কোনো নির্বাচনে তেমন আর দেখা যায়নি। এই পোস্টার অপসারণ করতেই পৌরসভার অনেক সময় লেগে যাবে। নিয়মিত জনবল দিয়ে কুলাবে না। অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ করে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালাতে হবে। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার দৈনিক বায়ান্নকে বলেন, এটা পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এর পরিণতি খুবই খারাপ হবে। এ জন্য নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) বরাবরই সাবধান হতে বলা হয়েছে। ইসির একটি আদেশও আছে। কিন্তু সে আদেশ প্রয়োগ করবে বদিউল আলম বলেন, অনেক দেশেই পোস্টার-ফেস্টুন ছাড়া নির্বাচন হয়। একটি নির্দিষ্ট জায়গায় প্রার্থীরা তাদের বিলবোর্ড বা ব্যানার বসিয়ে প্রচার চালান। অনেক দেশে প্রার্থীরা তাদের পরিচিতি সংবলিত বুকলেট ভোটারদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেন। সেখানে প্রার্থী সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য থাকে। বাংলাদেশেরও এখন সেদিকে যাওয়া প্রয়োজন। আগামী ১০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহন।