বাংলাদেশের উপক’লীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন সম্পর্কিত দুই দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুক্রবার শুরু হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলে অভিযোজন কৌশলের প্রাপ্ত নমুনার সর্বোত্তম অনুশীলন’ (Evidences from Best-Practice in Coastal Areas) শীর্ষক এ সম্মেলন গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরস্থ ব্র্যাক সিডিএম সেন্টারে অ্যালমোনাই এসোসিয়েশন অব জার্মান ইউনিভারসিটি আয়োজন করে। সম্মেলনে দেশ বিদেশের গবেষক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা অংশ নিচ্ছেন।

সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের প্রফেসর ড.এম শফিক উর রহমান। এতে জুম ভার্চূয়্যালির মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠাণে অন্যান্যের মধ্যে ভার্চূয়্যালি বক্তব্য রাখেন, ডিএএডি’র ভারতের রিজিওনাল অফিসের পরিচালক ড.কাৎজা লাস, বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানীর রাষ্ট্রদূত পিটার ফাহরেনহোজ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. খান মো. শফিকুল ইসলাম। সম্মেলন ভেন্যুতে শারীরিকভাবে অর্ধশতাধিকসহ এবং জুমের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ১০০ জন গবেষক, শিক্ষক ও কর্মকর্তা এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনের চারটি আলোচ্য বিষয় হচ্ছে কৃষি ও খাদ্য সুরক্ষা, জলসম্পদ, ল্যান্ডস্কেপ বাস্তুবিদ্যা ও সুরক্ষিত বনঅঞ্চল, পরিবেশ এবং স্থানীয় অবকাঠামো। আয়োজকরা জানান, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের গবেষকদের উন্মুক্ত গবেষণা আহবান করা হয়। এতে জার্মানীতে অধ্যয়নকারী শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দেয়া হয়। পরে তিনশত গবেষণা প্রতিবেদন থেকে এ সম্মেলনে উপস্থাপনের জন্য ২০টি গবেষণা প্রতিবেদন চ’ড়ান্ত করা হয়।

উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি ড. কাজী খলিকুজ্জামান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বব্যাপী এখন একটি চ্যালেঞ্জ। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আলোচ্য বিষয়গুলিতে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। উপকূলীয় অঞ্চলগুলিতে জলবায়ুর ঝুঁকি খুব বেশি রয়েছে। তারপরও এই বিষয় নিয়ে ৩০০ টিরও বেশি গবেষণা প্রতিবেদন পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ২৮টি দেশ থেকে এসেছে ১৫০ এর মতো প্রতিবেদন। আমি আশা করি এই দুই দিনের সম্মেলন বিজ্ঞানী এবং নীতি নির্ধারকদের মধ্যে একটি প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করবে।