২০১৩ সালের ৪ ডিসেম্বর গুম হওয়া সাজেদুল ইসলাম সুমন সহ সকলকে তাদের পরিবারের নিকট ফিরিয়ে দিয়ে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য সরকারের নিকট আহ্বান জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, আইনের শাসন ও মৌলিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন সবাই একমত হবেন যে অপহরণ, গুম, গুপ্তহত্যা, বিচারবহির্ভূত খুন ও হেফাজতে নির্যাতন ও ন্যায়বিচারের সুযোগহীনতার মতো বিষয়গুলো মানবাধিকার লঙ্ঘনের নৃশংসতম ও চরম অপরাধগুলোর অন্যতম। মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রধানত রাষ্ট্রীয় নীতি ও পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া ঘটার সুযোগ নেই। মানবাধিকারের এসব লঙ্ঘনের কোনোটি বিচ্ছিন্নভাবেও সংঘটিত হয় না, এগুলো পরস্পর সম্পৃক্ত; একটি অপরটিকে আরও গুরুতর দিকে পরিচালিত করে এবং চূড়ান্তভাবে আইনের শাসনকে বিপন্ন করে তোলে।

শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে সাজেদুল ইসলাম সুমনের গুম হওয়ার ৭ বছর উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, বাংলাদেশে আজ কয়েক শ পরিবারের সদস্যরা বছরের পর বছর তাঁদের সন্তান-স্বামী-বাবা-ভাই-বোনকে গুমের মিছিলে হারিয়ে অসহায় জীবন যাপন করছেন। ৭ বছর যাবত সাজেদুল ইসলাম সুমনের পথ চেয়ে আছে তার পরিবার। প্রতিমূহুর্তে তারা আশা করে সুমন ফিরে আসবে। আমরা প্রত্যাশা করব, গুম হওয়া সুমনকে অনতিবিলম্বে নিরাপদে ঘরে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। স্বজনহারা সুমনের ঘর পরম প্রিয়জনের উপস্থিতির উষ্ণতায় উজ্জ্বল হয়ে উঠবে অচিরেই।

তারা আরো বলেন, সুমনের সন্ধানের দাবিতে তার পরিবার সাত বছরের বিভিন্ন সময়ে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে মন্ত্রী, এমপি ও বড় বড় নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। তাতেও সন্ধান মেলেনি সুমনের। এই অবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীই হচ্ছেন শেষ ভরসা। পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর নিকট আকুল আবেদন ফিরিয়ে দেবার নির্দেশ দিন।

সংগঠনের চেযারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা’র সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ উপদেষ্টা কমিটির সদস্য এনামুজ্জামান চৌধুরী, এশিয়া হিউম্যানরাইটস্ ফাউেন্ডেশন মহাসচিব আর কে রিপন, বাংলাদেশ ন্যাপ মহানগর সভাপতি মো. শহীদুননবী ডাবলু, সংগঠনের মহাসচিব এডভোকেট সাইফুল ইসলাম সেকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন মো. আল আমিন, সাংবাদিক মোরশেদ আলী মারুফ, গিতিকার ও সুরকার জুলহাস চৌধুরী পলাশ, নারী নেত্রী সাদিয়া ইসলাম ইমন, মিস চম্পা প্রমুখ।