গাজীপুরে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ ও ব্যবহারের দায়ে ৭ নারী এবং বেকারী ও জমির মালিকসহ ১৪জনকে অর্থদন্ড করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ অভিযানকালে আদালত প্রায় দুই হাজার অবৈধ আবাসিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও গ্যাস লাইন অপসারন করে। গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নীলিমা রায়হানা এর নেতৃত্বে সোমবার রাতে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড গাজীপুর আঞ্চলিক অফিসের ব্যবস্থাপক সুরুজ আলম জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনর চাপুলিয়া, নাওজোড়, ভোগড়া ও ইটাহাটা এলাকার অসাধু লোকজন বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠাণ ও বাসা বাড়ীতে অবৈধ লাইন সংযোগ দিয়ে বিপদজনকভাবে গ্যাস ব্যবহার করছে। এ গোপন সংবাদ পেয়ে গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নীলিমা রায়হানা এর নেতৃত্বে ও গাজীপুর (জোবিঅ-গাজীপুর) এর উদ্যোগে সোমবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ওই এলাকার ৫টি পয়েন্টে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানকালে আদালত অবৈধ গ্যাস লাইন স্থাপন ও গ্যাস সংযোগ নিয়ে ব্যবহারের দায়ে স্থানীয় মো. শাহাজাহান মিয়াকে ১ লাখ ২০ হাজার, ফারজানা ইসলামকে ৮০ হাজার, জেবিন পারভীনকে ৪০ হাজার, কামরুল ইসলামকে দেড়লাখ, আব্দুস সামাদকে ১ লাখ ৩৫ হাজার এবং আশরাফুল ইসলামকে ৯০ হাজার, আছমা আক্তারকে ৩০ হাজার, রুমা আক্তারকে ১৫ হাজার, ফারমিনা আক্তার শম্পাকে ১৫ হাজার, মীমকে ১৫ হাজার, জাকিয়া সুলতানাকে ১৫ হাজার, জামাল উদ্দিনকে ১০ হাজার করে মোট ৭ লাখ ১৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়। এছাড়াও চাপুলিয়া এলাকায় ১টি বেকারীতে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ গ্রহনের দায়ে বেকারীর মালিক মারুফ হোসেন খানকে ১৫ হাজার টাকা ও জায়গার মালিক ওহিদুল ইসলাম খানকে ১ লাখ ২০ হাজার অর্থদন্ড করা হয়। এ নিয়ে সর্বমোট ১৪ জনকে সাড়ে ৮ লাখ অর্থদন্ড করা হয়।

অভিযানকালে ৯শ’টি বাসা বাড়ির ২ হাজারটি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং অবৈধভাবে স্থাপিত সাড়ে ৪ কিলোমিটার পাইপ লাইনের সংযোগস্থলসহ ৫শ’মিটার গ্যাসের পাইপ লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও অপসারণ করা হয়। এসময় চুলাসহ বিভিন্ন ব্যাসার্ধের পাইপ, রাইজার ও অবৈধ সংযোগে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। অভিযান পরিচালনার খবর পেয়ে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় অসাধু চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন বাসা বাড়ীর মালিকদের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা নিয়ে রাতের আঁধারে এসব অবৈধ সংযোগ প্রদান করে।

অভিযানকালে গাজীপুর তিতাস গ্যাসের (জোবিঅ-গাজীপুর) ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. সুরুজ আলম, উপব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মির্জা শাহনেওয়াজ লতিফ, সহকারী প্রকৌশলী কে.এইচ. ফয়সাল আহমেদ ও শেখ জাবের নূরানী, উপ সহকারী প্রকৌশলী মজিবুর রহমান ও মোঃ সাবিনুর রহমান, রাজস্ব উপশাখার সহকারি কর্মকর্তা মো.আব্দুর রাজ্জাক ও মো. ইকবাল হোসেন চৌধুরীসহ টেকনিক্যালটিম এবং পুলিশ ও আনসার ব্যাটলিয়নের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।