অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ। তার নির্দেশেই এসআই লিয়াকত সিনহাকে গুলি করে। র‌্যাবের অভিযোগপত্রে এ তথ্য উঠে এসেছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‍্যাব-১৫ তে দায়িত্বরত সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম রোববার সকালে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারার আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন।
তিনি বলেন, এ মামলায় গ্রেপ্তার ১৪ জন আসামি ছাড়াও আরও একজনকে অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিও চিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে টেকনাফ শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ। এ সময় পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা সহযোগী সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। পরে রিসোর্ট থেকে শিপ্রাকে আটক করা হয়।

ওই ঘটনায় টেকনাফের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত এবং ওসি প্রদীপসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা এবং পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষী কারাগারে রয়েছে। বর্তমানে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ দুদকের একটি মামলা চট্টগ্রাম কারাগারে রয়েছে। অন্য আসামিরা কক্সবাজার জেলা কারাগারে রয়েছে। এ ঘটনায় মোট ১৪ জন আসামিদের মধ্যে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা ছাড়া অন্য ১২ জন আসামি তদন্ত সংস্থা র‌্যাবের মাধ্যমে আদালতে স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দিয়েছেন।