দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭ হাজার ২৪২ জন। শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১ হাজার ২৬৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে করোনা শনাক্ত হলো মোট ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৫৬০ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯৮৭ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৩৫ হাজার ৬০১ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯৮৭ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৩৫ হাজার ৬০১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬০টি ল্যাবরেটরিতে ১২ হাজার পাঁচটি নমুনা সংগ্রহ ও ১২ হাজার ৩০০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৩০ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৪টি।

শনিবার সকাল পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার হার ১০ দশমিক শূন্য ৩০ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক শূন্য ২০ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ।

প্রসঙ্গত, গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর বর্তমানে দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা তিন লাখ অতিক্রম করে গত ২৬ আগস্ট এবং মৃতের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়েছে।

এদিকে, বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৬ লাখ ৭৪ হাজার ৬০ জনে। এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৫৬ লাখ ২৭ হাজার ৫৯৩ জনে।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়। চলতি বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।

করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত দেশটিতে ১ কোটি ৭৪ লাখ ৪২ হাজার ১৮০ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৩ লাখ ১৩ হাজার ২৪৬ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।

পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয়তে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত প্রায় ৯৯ লাখ ৭৯ হাজার ৪৪৭ জন এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৮৯ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী ৭১ লাখ ৬২ হাজার ৯৭৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬৫০ জনের।

রোগী শনাক্তের দিক দিয়ে তালিকার পরবর্তী কয়েকটি দেশ হলো- রাশিয়া (প্রায় ২৭ লাখ ৬৫ হাজার), ফ্রান্স (প্রায় ২৫ লাখ), তুরস্ক (১৯ লাখ ৮২ হাজারের বেশি) ও যুক্তরাজ্য (১৯ লাখ ৮২ হাজারের বেশি)।

মৃতের দিক দিয়ে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে আছে মেক্সিকো (১ লাখ ১৬ হাজার ৪৮৭ জন)। তারপরে ইতালিতে ৬৭ হাজার ৮৯৪ জন, যুক্তরাজ্যে ৬৬ হাজার ৬৪০ জন, ফ্রান্সে ৬০ হাজার ৩৪৩ জন ও ইরানে ৫৩ হাজার ২৭৩ জন মারা গেছেন।