গাজীপুরে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ ও ব্যবহারের দায়ে ৬ নারীসহ ১২জনকে অর্থদন্ড করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ অভিযানকালে আদালত প্রায় এক হাজার অবৈধ আবাসিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও গ্যাস লাইন অপসারন করে। গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা ইসলাম এর নেতৃত্বে রবিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড গাজীপুর আঞ্চলিক অফিসের ব্যবস্থাপক সুরুজ আলম জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বাসন থানাধীন নাওজোড় ও কড্ডা নান্দুন এলাকার অসাধু লোকজন বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠাণ ও বাসা বাড়ীতে অবৈধ লাইন সংযোগ দিয়ে বিপদজনকভাবে গ্যাস ব্যবহার করছে। এ গোপন সংবাদ পেয়ে গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা ইসলাম এর নেতৃত্বে ও গাজীপুর (জোবিঅ-গাজীপুর) এর উদ্যোগে রবিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ওই এলাকার কয়েকটি পয়েন্টে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানকালে আদালত অবৈধ গ্যাস লাইন স্থাপন ও গ্যাস সংযোগ নিয়ে ব্যবহারের দায়ে স্থানীয় জেসমিনকে ৩০ হাজার টাকা, মহিউদ্দিনকে ১০ হাজার, নবী মিয়াকে ২০ হাজার, শাওনকে ১০ হাজার, ইউসুফ সরদারকে ১৫ হাজার, আলী আজগরকে ১০ হাজার, দীপ্তিকে ২ হাজার, ঝর্নাকে ২ হাজার, ইতিকে ২ হাজার, নুরুল হককে ২ হাজার, রুপসীকে ২ হাজার ও হাসিকে ২ হাজার করে মোট ১ লাখ ৭ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়।

অভিযানকালে ৫শ’টি বাসা বাড়ির এক হাজারটি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং অবৈধভাবে স্থাপিত সাড়ে ২কিলোমিটার পাইপ লাইনের সংযোগস্থলসহ ২শ’মিটার গ্যাসের পাইপ লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও অপসারণ করা হয়। এসময় চুলাসহ বিভিন্ন ব্যাসার্ধের পাইপ, রাইজার ও অবৈধ সংযোগে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। অভিযান পরিচালনার খবর পেয়ে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় অসাধু চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন বাসা বাড়ীর মালিকদের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা নিয়ে রাতের আঁধারে এসব অবৈধ সংযোগ প্রদান করে।

এসময় গাজীপুর তিতাস গ্যাসের (জোবিঅ-গাজীপুর) ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. সুরুজ আলম, উপব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মির্জা শাহনেওয়াজ লতিফ, সহকারী প্রকৌশলী কে.এইচ. ফয়সাল আহমেদ ও শেখ জাবের নূরানী, উপ সহকারী প্রকৌশলী মজিবুর রহমান ও মোঃ সাবিনুর রহমান, রাজস্ব উপশাখার সহকারি কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন চৌধুরীসহ টেকনিক্যালটিম এবং পুলিশ ও আনসার ব্যাটলিয়নের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।