গাজীপুরে বোনের বাসায় বেড়াতে এসে যুবক খুন হওয়ার ঘটনায় তার ভগ্নিপতিকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (গোয়েন্দা ও মিডিয়া) জাকির হাসান।

গ্রেফতারকৃতের নাম শাহার আলী ওরফে সোহান (২৮)। সে বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি থানার গোয়ালবাতান এলাকার আব্দুল জলির মন্ডলের ছেলে।

জিএমপি’র উপ কমিশনার জানান, গত ২৮ নবেম্বর বাবা-মাকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি থেকে চাকুরির সন্ধানে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মোগরখাল এলাকায় বোনের বাড়ি বেড়াতে আসেন রানা মিয়া (১৮)। রবিবার রাতে বাবা-মাকে বোনের বাসায় রেখে বগুড়ার গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। এরপর তিনি নিখোঁজ হন। পরদিন (সোমবার) সকালে স্থানীয় যোগীতলা এলাকার মুন্সিবাড়ি রোডের এপারেলস প্লাস ইকো কারখানার পেছনে একটি ধান ক্ষেত থেকে গলায় নাইলনের রশি বাঁধা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। খুনের এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের ভগ্নিপতি শাহার আলী ওরফে সোহানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে শ্যালক রানাকে খুন করার কথা স্বীকার করে। এ ঘটনায় সোমবার থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত রানা বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি থানার রামচন্দ্রপুর এলাকার আবুল কাশেম প্রমাণিকের ছেলে।

জিজ্ঞাসাবাদকালে সোহান জানায়, শ^শুর আবুল কাশেম প্রমাণিকের (নিহতের বাবা) কাছে পাওনা ১০ হাজার টাকা নিয়ে পারিবারিক বিরোধ সৃষ্টি হয় সোহানের সঙ্গে। এর জের ধরে বছর খানেক আগে সোহানকে শ^শুর বাড়িতে ডেকে নিয়ে মারধর করে রানা ও জনি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রানাকে হত্যার পরিকল্পনা করে সে। পরিকল্পনা অনুযায়ী রবিবার রাতে বাসা থেকে যোগীতলার একটি নির্জনস্থানে ডেকে নিয়ে রানাকে খুন করে সোহান। পরে নিহতের লাশ ধান ক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যায় সে। সোহানের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ নিহতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন তার বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়।