‘বদি’খ্যাত প্রিয় অভিনেতা আবদুল কাদেরকে শেষবারের মতো দেখতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডিমর প্রাঙ্গনে হাজির হন ভক্ত, সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। বাদ জোহর রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস কেন্দ্রীয় মসজিদে প্রথম জানাজা শেষে তার মরদেহ বিকেল ৩টায় নিয়ে আসা হয় শিল্পকলায়। এখানে সর্বস্তরের মানুষ তাকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। শ্রদ্ধা জানান শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, অভিনেত্রী ত্রপা মজুমদার এবং ডিরেক্টর গিল্ডের পরিচালক এসএ হক অলিকসহ অনেকশিল্পী ও সাধারণ মানুষ।

এ সময় লিয়াকত আলী লাকী বলেন, ‘আবদুল কাদের ছিলেন আমাদের সংস্কৃতি জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি সব সময়ই হাসিখুশি থাকতেন। সবার সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল অসাধারণ। এমন একজন মানুষের চলে যাওয়া, মেনে নেওয়া সত্যিই খুব কষ্টকর।’

নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, ‘আমি আর কাদের ১৯৭২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে আমাদের মঞ্চ যাত্রা শুরু। আমার এক বছরের ছোট, কিন্তু অসাধারণ মানুষ ছিলেন কাদের। অতান্ত ভালো মানুষ বলতে যা বোঝায়। মানুষ হিসেবে যে উচ্চতা সে অর্জন করেছিল, অভিনয় জগতেও একই উচ্চতা সে অর্জন করেছে। এটা সাধারণত হয় না। কাদের যখন হাসপাতালে আমার সেই পুরোনো কথাগুলো খুব মনে পড়ছিল।’

বিকেল ৩টা ১০ মিনিট থেকে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানো পর্ব শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৪টায়। জানা গেছে, শিল্পকলা একাডেমি থেকে আবদুল কাদেরের মরদেহ নেওয়া হবে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে। বাদ মাগরিব দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে।

উল্লেখ্য, হুমায়ূন আহমেদের লেখা ‘কোথাও কেউ নেই’ ধারাবাহিক নাটকে ‘বদি’ চরিত্রে অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা পান আবদুল কাদের। এ ছাড়া তিনি হুমায়ূন আহমেদের ‘নক্ষত্রের রাত’ নাটকে দুলাভাই চরিত্রেও দারুণ প্রশংসিত হন।

গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে অভিনেতা আবদুল কাদেরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে করোনা ইউনিট থেকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শুক্রবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।