সদর হাসপাতালে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয়ের টেনডার দাখিলে বাঁধা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে রোববার (৩ জানুয়ারী) বিকেলে মিজান কোং লিমিটেডের প্রতিনিধি আরাফাত হোসেন অনিক স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ ও সদর হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থ বছরে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের জন্য ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রীয় ক্রয় (এমএসআর) করতে ৬টি প্যাকেজে দরপত্র আহবান করেন সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রকাশিত বিজ্ঞাপ্তি অনুযায়ী ৮১টি দরপত্র বিক্রি করেন কর্তৃপক্ষ। যার দরপত্র দাখিলের শেষ সময় নির্ধারন করা হয় রোববার (৩ জানুয়ারী) সকাল ১১টা পর্যন্ত। ঢাকা ধানমন্ডি এলাকার মিজান কোং লিমিটেড উক্ত দরপত্র ক্রয় করে রোববার (৩ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০টায় সদর হাসপাতালের তত্ত্বধায়কের কার্যালয়ে একমাত্র দরপত্র বাক্সে দরপত্র দাখিল করতে যান কোম্পানির প্রতিনিধি আরাফাত হোসেন অনিক। এ সময় পুলিশের উপস্থিতিতে তত্ত্বধায়কের রুমের পাশে একটি চক্র তাকে বাঁধা দিয়ে দরপত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। একপর্যয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন চক্রটি।

পরে ফোনে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তারা রক্ষা পেলেও তা দরপত্র দাখিলের সময় অতিক্রম করে। অবশেষে তত্ত্বধায়কের হাতে দরপত্র দাখিল করে চলে যান তিনি। কিন্তু নির্ধারীত সময় অতিবাহিত হওয়ায় তার দরপত্র গ্রহন করা হয়নি।

ওই টেন্ডার প্রক্রিয়া বাতিলের দাবি করে মেইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মিজান কোং লিমিটেডের প্রতিনিধি আরাফাত হোসেন অনিক। একই ঘটনায় ৫জনের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট সদর থানাও একটি অভিযোগ দায়ের করেন মিজান কোং লিমিটেডের প্রতিনিধি।

বাদি মিজান কোং লিমিটেডের প্রতিনিধি আরাফাত হোসেন অনিক বলেন, দরপত্র নিয়ে হাসপাতালের তত্ত্বধায়কের কক্ষে রাখা দরপত্র বক্সে দাখিল করতে যাই। এ সময় তত্ত্বধায়কের রুমের পাশেই বসে থাকা টেন্ডারবাজ চক্রটি দরপত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে আমাকে অবরুদ্ধ করে সময় ক্ষেপন করেন। উপস্থিত পুলিশের সহায়তা চেয়েও পাইনি। সময় ক্ষেপন করে আমাকে ছেড়ে দেয়া হয়। তিনি ন্যায় বিচার দাবি করেন।

লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, পুলিশ দরপত্র বক্সের পাশেই ছিল। যারা নির্ধারীত সময়ে পৌছে তারা দরপত্র দাখিল করেছেন। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে ঠিকাদার পুলিশের সহায়তা চেয়েও না পাওয়ার বিষয়টি সঠিক নয় বলেও দাবি করেন তিনি।
সদর হাসপাতালের তত্ত্বধায়ক ডা. সিরাজুল ইসলাম বলেন, তারা নির্ধারীত সময়ের কিছু আগে বক্সের পাশে পৌঁছালেও নিজেদের মধ্য ধস্তাধস্তির কারনে সময় ক্ষেপন করেন। নির্ধারীত সময়ের মধ্যে দরপত্র বক্স বন্ধ করা হয়। ১৮টি দরপত্র দাখিল হয়েছে বলেও জানান তিনি।