পাবনা পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলী মূর্তজা বিশ্বাস সনির পক্ষে কাজ না করায় পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ ও পাবনা পৌর আওয়ামীলীগের কমিটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের স্বাধীনতা চত্বরে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলী মূর্তজা বিশ্বাস সনির নির্বাচনী পথসভায় এ ঘোষনা দেন। অপরদিকে জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি শরীফ উদ্দিন প্রধান স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় তার পক্ষে নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার অভিযোগে দলের ১৮ নেতা-কর্মিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বীরমুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই’র সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, বিশিষ্ট শিল্পতি অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, কামরুল হাসান মিন্টু ও শিবলী সাদিক প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। এসএম কামাল হোসেন বলেন যারা নৌকা বিপক্ষে কাজ করে তারা জামাত-বিএনপির লোক। তিনি শনিবার পাবনা পৌরসভার নির্বাচনের দিন দলের নেতা-কর্মি, সমর্থকদের বুকে নৌকার ব্যাচ লাগিয়ে কেন্দ্রে অবস্থান করার নির্দেশ দিয়ে প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন যাদের ব্যাচ থাকবে না তারা দলের কেউ না। কেউ বাধা দিলে পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য দলেরন নেতা-কর্মিদের নির্দেশ দেন তিনি। তিনি প্রশাসনকেও সজাগ থাকার আহবান জানিয়ে বলেন সাংবাদিক ভাইরা লিখে দিন সদর উপজেলা, পৌর আওয়ামী লীগের কমিটি স্থগিত ঘোষনা করলাম।

এ ছাড়া পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের ১৮ জন নেতাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছেন পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও পাবনা সদর আসনের এমপি গোলাম ফারুক প্রিন্স। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে তাদের নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আগামী ৩০ জানুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য পাবনা পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগের সাবেক সভাপতি শরীফ উদ্দিন প্রধানের পক্ষে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছেন সদর উপজেলা, পৌর ও জেলা আওয়ামীলীগের সিংহভাগ নেতা-কর্মি। অপরদিকে দুপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক যুবলীগের সভাপতি শরীফ উদ্দিন প্রধানের পক্ষে আওয়ামীলীগের ভোট চেয়ে শহরে বিশাল শো প্রচার র‌্যালী বের করা হয়। শহরের থমথমে ভাব শুরু হয়েছে। নির্বাচনে সহিংসতার আশংকা করছেন পৌরবাসী।