গাজীপুরে দাম্পত্য কলহের জেরে এক গৃহবধূর শরীরে তার স্বামী অগ্নিসংযোগ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর অবস্থায় দগ্ধ ওই গৃহবধূকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মর্জিনা বেগম (৪০)। তিনি টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার এলাসিন গ্রামের বাদশা মিয়ার মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী থানার সেলিমনগর এলাকার মমতাজের ভাড়া বাসায় স্বপরিবারে ভাড়া থেকেন। তার স্বামী স্বাধীন স্থানীয় কেয়া স্পিনিং মিলস লিমিটেডের নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে চাকুরি করেন। বেশ কিছুদিন ধরে স্বামী ও স্ত্রীর মাঝে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। এর জেরে রবিবার বিকেলে মর্জিনার পরিহিত কাপড়ে গ্যাস লাইট দিয়ে অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যায় তার স্বামী স্বাধীন। এতে দগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন মর্জিনা। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে মর্জিনাকে উদ্ধার করে কোনাবাড়ী শরিফ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সন্ধ্যায় সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে রেফার্ড করা হয়েছে। আগুনে মর্জিনা বেগমের শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে।

এব্যাপারে কোনাবাড়ী থানার ওসি আবু সিদ্দিক জানান, গৃহবধূর গায়ে আগুন দেয়ার খবর হাসপাতাল থেকে জানতে পেরেছি। ঘটনা জানার জন্য একজন অফিসারকে (এসআই) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে গৃহবধূর পক্ষ থেকে এখনও কেউ থানায় অভিযোগ করে নি।