কক্সবাজারে ১৪ লাখ ইয়াবাসহ আটক ফারুকের বাড়ি থেকে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ফারুকের ইয়াবা কারবারির সঙ্গে কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় কিছু বিত্তশালী জড়িত থাকার অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।

কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডী ব্রিজ এলাকা থেকে ১৪ লাখ ইয়াবাসহ আটক ইয়াবা ডন ফারুকের বাড়ি থেকে দুটি বস্তা ভর্তি ১ কোটি ৭০ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। আটক ইয়াবা ডন জহিরুল ইসলাম ফারুকের দেয়া স্বীকারোক্তি মতো অভিযান চালানো হয়। মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়াস্থ জহিরুল ইসলাম ফারুকের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা বিক্রির এসব টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান রাতে সংবাদ সম্মেলনে জানান, ১৪ লাখ ইয়াবাসহ আটক জহিরুল ইসলাম ফারুককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে বাড়িতে ইয়াবা বিক্রির বিপুল পরিমাণ টাকা রাখার কথা স্বীকার করেন তিনি। তার দেয়া তথ্য মতে অভিযান চালিয়ে বাড়ি থেকে দুটি বস্তা ভর্তি টাকা উদ্ধার করা হয়। গণনা করে দুই বস্তায় এক কোটি ৭০ লাখ ৬৬ হাজার ৫০০ টাকা পাওয়া গেছে। ইয়াবা এবং টাকা উদ্ধারের ঘটনায় আটক এ চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পুলিশ সুপার আরও জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজার জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কয়েকটি টিম গতকাল মধ্য রাত থেকে ইয়াবার একটি চালান মিয়ানমার থেকে সমুদ্র পথে কক্সবাজার শহরের দিকে আসার সংবাদ পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় ছদ্মবেশে ওত পেতে থাকে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে চৌফলদন্ডী ব্রিজের কাছে নৌ-ঘাটে অভিযান চালিয়ে কক্সবাজার জেলায় এযাবতকালের সবচেয়ে বড় ইয়াবার চালান আটক করা হয়। এসময় আটক করা হয় জহিরুল ইসলাম ফারুক ও বাবুকে। পরে এ ঘটনায় জড়িত আরও ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দু’জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হচ্ছে ফারুকের শ্বশুর মোহাম্মদ আলী ও শ্যালক শেখ আব্দুল্লাহ।