হাইকোর্টের নির্দেশে আবারো শুরু হয়েছে অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযান বুধবার(১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ উচ্ছেদ অভিযানে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৮টি অবৈধ ইটভাটা।পাশাপশি এসব ইটভাটা থেকে ৪৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এসময় ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) এর ০৫, ০৮ (০৩) ধারায় মাটির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ ও হ্রাসকরণে আটটি ইটভাটা থেকে ৪৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ইটভাটাগুলো হলো- সেলিনা হোসেন মালিকানাধীন মেসার্স এমবিসি ব্রিকস ৫ লাখ, জোবাইদুল ইসলামের মেসার্স ইউবিএল ব্রিকস ৬ লাখ, আব্দুর রাজ্জাকের মেসার্স এমএইচই ব্রিকস ৭ লাখ, নুর আমিন মেসার্স সিএন ব্রিকস ৬ লাখ, জিকরুল হকের মেসার্স এমজেডএইচ ব্রিকস ৪ লাখ, মোজাহারুল ইসলাম মেসার্স থ্রি স্টার ব্রিকস ৭ লাখ, আব্দুল মজিদ মেসার্স এবি ব্রিকস ৩ লাখ, ইকবাল হোসেনের মেসাস আরএসবি ব্রিকস ৫ লাখ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট রেজিনা আকতার ও রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মেজবাবুল আলমের নেতৃত্বে অভিযানে অংশ নেয় পুলিশ, র‌্যাব, ফায়ার সার্ভিস, আনসার ভিডিপি ও গ্রাম পুলিশ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট রেজিনা আকতার বলেন, ২০১৩ সাল থেকে নীলফামারী জেলার ৬০টি ইটভাটার মধ্যে ৮টি ইটভাটা সনাতন পদ্ধতিতে চলছে। যা মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করেছে। এসব ভাটা আংশিক গুড়িয়ে ও জরিমানা করা হচ্ছে।
রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মেজবাবুল আলম বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী অবৈধ সব ইটভাটাতেই অভিযান চালানো হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এসব ইটভাটায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে না। তাছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের কোন লাইসেন্স নেই।

 

সুজন মহিনুল, বিশেষ প্রতিনিধি॥