বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বারি) সারা বছরব্যাপী চাষযোগ্য বারি পেঁয়াজ-৫ এর মাঠ দিবস মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘বাংলাদেশে মসলা জাতীয় ফসলের গবেষণা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের অর্থায়নে আয়োজিত ‘পেঁয়াজ বীজ ও বীজকন্দ উৎপাদন প্রযুক্তি’ বিষয়ক এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। বারি’র গাজীপুরস্থ আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্র আয়োজনে এ কৃষক মাঠ দিবসে ৭০ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন।

বারি’র মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে সকালে মাঠে উপস্থিত থেকে এ কৃষক মাঠ দিবসের উদ্বোধন করেন। গাজীপুরের আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কের্ন্দের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহা. সহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারি’র পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. এস. এম. শরিফুজ্জামান, পরিচালক (কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্র) ড. কবিতা আনজু-মান-আরা, পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. তারিকুল ইসলাম, সরেজমিন গবেষণা বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আককাছ আলী, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সোহেলা আক্তার, মসলা গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক ড. শৈলেন্দ্র নাথ মজুমদার প্রমুখ। ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. ইকবাল হক স্বপন এর সঞ্চালনায় মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গাজীপুরের আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহা. মাসুদুল হক। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বারি’র বিভিন্ন বিভাগের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, দেশে বর্তমানে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা ৩৫ লাখ মেট্রিক টন। প্রতি বছর প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানী করতে হয়। বারি উদ্ভাবিত বারি পেঁয়াজ-৫ যেমন সারা বছরব্যাপী চাষ করা যায়, তেমনি অন্যান্য পেঁয়াজের জাতের চেয়ে এ জাতের উৎপাদন ২-৩ গুণ বেশি। প্রতি বিঘায় অন্যান্য জাতের পেঁয়াজের উৎপাদন যেখানে ২৫-৩০ মণ হয়, সেখানে বারি পেঁয়াজ-৫ এর উৎপাদন ৭৫-৮০ মণ। তাই সারা বছরব্যাপী চাষযোগ্য বারি পেঁয়াজ-৫ চাষ করলে কৃষক যেমনি লাভবান হবে তেমনি দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি মেটানোও সম্ভব হবে।