গাজীপুরে বাসায় আটকে রেখে বিউটি পার্লার কর্মী নওমুসলিম এক কিশোরীকে (১৬) দিয়ে জোরপূর্বক দেহব্যবসা করানোর অভিযোগে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের এক নারী কাউন্সিলরসহ দুইজনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এঘটনায় পুলিশ ওই বাসার অভিযুক্ত কেয়ারটেকারকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতারকৃতের নাম- মোঃ নুরুল হক (৬৫)। সে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ এলাকার মৃত কালু শহা ফকিরের ছেলে এবং গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নলজানীর গ্রেট ওয়াল সিটি আবাসিক এলাকার মোফাজ্জল হোসেনের বাড়ির কেয়ার টেকার।

জিএমপি’র বাসন থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুল ফারুক জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর (১৬, ১৭ ও ১৮ নং ওয়ার্ড) রোকসানা আহমেদ রোজীর মালিকানাধীন চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার রহমান শপিং মলের আনন্দ বিউটি পার্লাারে প্রায় চার মাস আগে চাকুরি নেন নওমুসলিম ওই কিশোরী (১৬)। তার বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা থানাধীন বড়য়াকোনা এলাকায়। পার্লারে চাকুরির পাশাপাশি তাকে দিয়ে গ্রেট ওয়াল সিটি এলাকাস্থিত রোজীর ভাড়া বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতে বাধ্য করা হয়। প্রতিবাদ করলে নানা ধরণের হুমকি দেয়া হতো। এরপর ওই কিশোরীকে বাসায় আটকে রেখে বাড়ির কেয়ার টেকার নুরুল হকের সহযোগিতায় বিভিন্ন সময়ে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করেন কাউন্সিলর রোজী। গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভিকটিমকে এ দিয়ে কাজে বাধ্য করা হয়। একপর্যায়ে মঙ্গলবার কৌশলে বাসা থেকে পালিয়ে যায় ভিকটিম। এঘটনায় জিএমপি’র বাসন থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের জবর দস্তি করে সেবা প্রদান ও পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার অভিযোগে মঙ্গলবার কাউন্সিলর রোজী ও বাড়ির কেয়ার টেকার নুরুল হকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ভিকটিম। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাত আরো ২-৩জনকে আসামী করা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত নুরুল হককে গ্রেফতার করেছে। তবে ঘটনার পর থেকে মামলার প্রধান আসামী রোকসানা আক্তার রোজী পলাতক রয়েছেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।