আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দারসহ ৭ ডাকাতকে রবিবার গ্রেফতার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত পিকআপসহ লুণ্ঠিত একটি ট্রাক ও ১১টি গরু জব্দ করা হয়েছে। এ ডাকাতদলের সদস্যরা বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে নানা কৌশলে পণ্যবাহী গাড়ী ও মালামাল লুট করে নিত।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- গাইবান্ধার পুরবন্দর (রথের বাজার) এলাকার মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে ডাকাত সর্দার শামীম ওরফে সবদুল (৩০), একই জেলার শিমুলতলা এলাকার সোলেমান প্রামাণিকের ছেলে দুলাল মিয়া ওরফে দুলু (৩৬), টাঙ্গাইলের ধামাবাসুরী এলাকার মৃত জোয়াহের আলীর ছেলে শামসুল আলম ওরফে সামছু ওরফে শান্ত (৪০), মানিকগঞ্জের সুমেতপুর এলাকার তছির মোল্লার ছেলে সোহেল রানা (২৮), সিরাজগঞ্জের মুলকান্দির চর এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে ওবায়দুল শেখ (৩৬), একই জেলা সদরের বৎসমূল পঞ্চসোনা এলাকার নুরনবী মোল্লার ছেলে সুমন মোল্লা (২৮) এবং পাবনা জেলার সরাইকান্দি এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩৫)।

জিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) জাকির হাসান জানান, বগুড়া থেকে ১২টি গরু নিয়ে একটি ট্রাক ব্রাহ্মনবাড়ীয়ায় যাচ্ছিল। গত রবিবার ভোর রাতে (১৪ ফেব্রুয়ারি) ট্রাকটি গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী ফ্লাইওভারের পশ্চিম পাশে পৌছলে ডাকাতরা একটি পিকআপ দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে গরুসহ ট্রাকটি লুট করে নিয়ে যায়। পরে তারা ট্রাকের চালক-হেলপার ও গরু ব্যবসায়ীদের মারধর করে ও হাত-পা বেঁধে ঢাকার ধামরাই এলাকায় ফেলে রাখে। এ ঘটনায় কোনাবাড়ি থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও হতে লুণ্ঠিত ট্রাক এবং ১১টি গরু জব্দ করে। পরে আধুনিক তথ্যের ভিত্তিতে এ ঘটনায় জড়িত আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দার শামীমসহ ৭ ডাকাতকে পর্যায়ক্রমে ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, আশুলিয়া ও গাজীপুর হতে রবিবার ভোরে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সদস্য। তারা একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে সংঘবদ্ধভাবে গাজীপুর, ঢাকা, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, নারায়নগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার সড়ক-মহাসড়কে নানা কৌশলে ডাকাতি করে পণ্যবাহী গাড়ী ও মালামাল লুট করে আসছিল। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় হত্যা ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।