গাজীপুরে সাড়ে ৫ বছরেরও বেশী সময় ধরে সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে এক কারখানার নিরাপত্তা কর্মীকে রবিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার নাম কাজী লিয়াকত আলী (৫২)। সে বাগেরহাটের চিতলমারী থানার হিজলা এলাকার মৃত আব্দুর রশিদ কাজীর ছেলে।

জিএমপি’র বাসন থানার এসআই নাহিদ আল রেজা জানান, প্রায় দেড়যুগ আগে বাগেরহাটের চিতলমারী থানার হিজলা এলাকার স্বামী পরিত্যক্তা এক কণ্যা সন্তানের জননীকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন কাজী লিয়াকত আলী। তারা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মোগরখাল এলাকার হোসেন কাজীর বাড়ির ভাড়া বাসায় থাকেন। লিয়াকত স্থানীয় এক কারখানার নিরাপত্তা কর্মীর চাকুরি করেন। গত ২০১৫ সালের ১৫ জুলাই বাড়ির লোকজনের অনুপস্থিতির সুযোগে লিয়াকত তার স্ত্রীর প্রথম সংসারের কিশোরী মেয়েকে (সৎ) জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর হতে বিভিন্ন সময়ে লিয়াকত ভয়ভীতি দেখিয়ে সৎমেয়েকে ধর্ষণ করে আসছে। লিয়াকতের হুমকির প্রেক্ষিতে ও মায়ের সংসারের শান্তির কথা বিবেচনা করে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ করেনি ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী মেয়ে। গত ৬ মাস আগে সিলেটের এক গাড়ি চালকের সঙ্গে বিয়ে হয় মেয়েটির। কিন্তু মাস খানেক পর মেয়েটিকে স্বামীর সংসার থেকে ছাড়িয়ে আনে লিয়াকত। সর্বশেষ শনিবার সকালেও মেয়েটিকে (১৯) ধর্ষণ করে তার সৎ বাবা। একপর্যায়ে ওই কিশোরী তার মামীকে ঘটনাটি জানায়। এ ব্যাপারে রবিবার জিএমপি’র বাসন থানায় সৎ বাবার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ৫বছর ৭মাসেরও বেশী সময় ধরে ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী মেয়ে। পুলিশ অভিযুক্ত কাজী লিয়াকত আলীকে গ্রেফতার করে। লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে ভন্ড কবিরাজী ও বিভিন্ন নারীকে যৌণ হয়রানী করার অভিযোগ রয়েছে।