দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৭ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৮ হাজার ৩৪৯ জন। ২৪ ঘণ্টায় নতুন করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩২৭ জন। এদিকে প্রতিনিয়ত বাড়ছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণে আগ্রহী মানুষের সংখ্যা। গতকাল রিববার দুপুর পর্যন্ত টিকা নিতে নিবন্ধন করেছে ৩২ লাখ ৭৪ হাজারের বেশি মানুষ। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৩৬টি নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩২৭ জন। শনাক্তের হার ২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। দেশে এখন পর্যন্ত ৩৯ লাখ ৪৭ হাজার ৬৭৩টি নমুনা পরীক্ষা করে রোগী শনাক্ত হয়েছে ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৩৫১ জন। মোট নমুনা পরীক্ষায় রোগী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এ সময়ে মারা গেছে ৭ জন। মৃতদের সবাই পুরুষ। তাদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের বেশি বয়সী ৬ জন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৪ জন। মৃতদের অঞ্চল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে ৬ জন এবং চট্টগ্রাম বিভাগে ১ জন রয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৪৭ জন এবং ছাড়া পেয়েছেন ৬১ জন। আইসোলেশনে আছেন ৯ হাজার ৯২৩ জন। কোয়ারেন্টিনে আছেন ৩৩৪ জন এবং ছাড়া পেয়েছেন ৫৯৮ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন মোট ৩১ হাজার ৮১৩ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ জানুয়ারি ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে এক সিনিয়র স্টাফ নার্সকে টিকাদানের মাধ্যমে টিকা প্রয়োগ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধনের পরই সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মে নিবন্ধন শুরু করা হয়। ওইদিন থেকে গতকাল রবিবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ৩২ লাখ ৭৪ হাজার ৮০৬ জন নিবন্ধন করেছেন।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ৩ কোটি ডোজ টিকা ক্রয়ের চুক্তি করেছে সরকার। গত ২৫ জানুয়ারি ক্রয় করা টিকার প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ দেশে এসেছে পৌঁছে। এর আগে গত ২০ জানুয়ারি ২০ লাখ ডোজ টিকা উপহার হিসেবে পেয়েছে ভারত সরকারের কাছ থেকে। সব মিলিয়ে এখন সরকারের কাছে ৭০ লাখ ডোজ টিকা পেয়েছে। আর এখন পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ২০ লাখ ৮২ হাজার ৮৭৭ জন। অবশিষ্ট ৪৯ লাখ ১৭ হাজারের বেশি ডোজ টিকা সরকারের কাছে রয়েছে।