গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের হেফাজতে থাকা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতারকৃত লেখক ও কলামিস্ট মোস্তাক আহমেদের (৫৩) মৃত্যুর ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠণ করেছে গাজীপুর জেলা প্রশাসন। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

জেলা প্রশাসক জানান, মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর আগে তার চিকিৎসায় কারো কোন অবহেলা আছে কি-না তা খতিয়ে দেখতে আভ্যন্তরীণভাবে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠণ করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী ও উম্মে হাবিবা ফারজানা।

তিনি বলেন, আমরা যতটুকু জেনেছি বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় মুশতাক আহমেদ বাথরুমে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। কারা কর্তৃপক্ষ তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কারা হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ৮টা ২০ মিনিটে মোস্তাক আহমেদকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি নারায়নগঞ্জের আড়াই হাজার থানার ছোট বালাপুর এলাকার মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।

কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, ঢাকার রমনা মডেল থানায় মোস্তাক আহমেদের বিরুদ্ধে গত বছরের (২০২০ সালের) ২ মে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় লালমাটিয়ার বাসা থেকে তাকে গ্রেফতারের পর একই মাসের ৬ মে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ২৪ আগস্ট তাকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। বৃহষ্পতিবার রাত ৮টা ২০ মিনিটে তিনি মারা যান। শুক্রবার গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মোস্তাক আহমেদের লাশ হস্তান্তর করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে নিহতের চাচাতো ভাই ডা. নাফিছুর রহমান লাশ গ্রহণ করেন। মোস্তাক আহমেদের মৃত্যুর ব্যাপারে জিএমপি’র সদর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করে কারা কর্তৃপক্ষ।