বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আয়োজনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন দৌড় ২০২১।’ সেই ধারাবাহিকতায় শনিবার বিকেলে ঝালকাঠির রাজাপুরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৫ কি.মি ব্যাপী ডিজিটাল ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
তথ্য মতে, গেলো ১০ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ছয়টায় বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামের সামনে থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সহযোগিতায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্যোগে এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সমন্বয়ের মাধ্যমে শুরু হয় ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা। ইতোমধ্যে দেশি-বিদেশি দৌড়বিদের অংশগ্রহণে এই ম্যারাথনের নাম উঠে গেছে আন্তর্জাতিক ম্যারাথন অ্যাসোসিয়েশনের (এইমস) ক্যালেন্ডারে। এই দৌড় অনুষ্ঠিত হচ্ছে তিন ক্যাটাগরিতে। যথাক্রমে-ফুল ম্যারাথন, হাফ ম্যারাথন ও ডিজিটাল ম্যারাথন।
এদিকে ঝালকাঠি জেলার রাজাপুরে এই দৌড়ে (ডিজিটাল ম্যারাথন) অংশ নিতে প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক মানুষ রেজিস্ট্রেশন করেন। যারা দৌড়ে অংশ নিয়েছেন তাদের জন্য উপজেলা সদর থেকে একটি রাস্তা নির্ধারণ করা হয়। রাজাপুর উপজেলা পরিষদের চত্বর থেকে ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে বরিশাল ভান্ডারীয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের ২.৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে একই সড়কের দীর্ঘ ৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে এসে শেষ হয়।
আজ শনিবার উপজেলা সদরে অবস্থিত উপজেলা পরিষদ বেলুন উড়িয়ে এই দৌড়ের উদ্বোধন ঘোষণা করেন রাজাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান। এ সময় সাথে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোক্তার হোসেন, বরিশাল শেখ হাসিনা সেনানিবাসের ২২ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়নের মেজর মোঃ শাহেদুজ্জামান, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম বারি খান, সহকারি কমিশনার (ভূমি) অনুজা মন্ডল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা আক্তার লাইজু, স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।
ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আগেই অ্যাপসের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করেন প্রতিযোগীরা। এরপর সেই অ্যাপস্ এর সহায়তায় তাদের দৌড় প্রতিযোগিতার সময় ও দূরত্ব নির্ধারণ করা হয়। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেই এই আয়োজন পরিচালনা করা হয়।
উল্লেক্ষ্য আগামী ২০২২ সাল হতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় প্রতি বছর ১০ জানুয়ারি তারিখে বড় পরিসরে স্পোর্টস ভিশন লিমিটেড এবং ট্রাস্ট ইনোভেশন লিমিটেড এর যৌথ আয়োজনে এবং সেনা ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সার্বিক সহযোগিতায় সকল বিভাগীয় শহরকে সম্পৃক্ত করে এ ধরনের ম্যারাথন আয়োজন করা হবে।