গাজীপুরে সংযোগ বিচ্ছিন্নের পর পুনঃরায় অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ ও ব্যবহারের দায়ে এক কারখানা ও দুইজনকে অর্থদন্ড করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ অভিযানকালে আদালত আট শতাধিক অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও গ্যাস লাইন অপসারন করে। গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড গাজীপুর আঞ্চলিক অফিসের ব্যবস্থাপক সুরুজ আলম জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বোর্ডবাজারের আই.ইউ.টি. রোড, কাথোরা ও কলমেশ্বর, এলাকার অসাধু লোকজন বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠাণ ও বাসা বাড়ীতে পুনঃরায় অবৈধ লাইন সংযোগ দিয়ে বিপদজনকভাবে গ্যাস ব্যবহার করছে। এ গোপন সংবাদ পেয়ে গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইকবাল হোসেন এর নেতৃত্বে ও গাজীপুর (জোবিঅ-গাজীপুর) এর উদ্যোগে বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ওই এলাকার ৭টি পয়েন্টে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় অবৈধ গ্যাস লাইন পুনঃস্থাপন ও সংযোগ নিয়ে ব্যবহারের দায়ে স্থানীয় মেসার্স এমা ড্রাই প্রসেস কারখানাকে দেড় লাখ ও অপর দুইজনকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেন আদালত। এর আগেও অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের দায়ে ওই কারখানার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল।

অভিযানকালে ওই এলাকার ৪শ’টি বাসা বাড়ির ৮শ’টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং অবৈধভাবে স্থাপিত ১কিলোমিটার পাইপ লাইনের সংযোগস্থলসহ ২শ’মিটার গ্যাসের পাইপ লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও অপসারণ করা হয়। এসময় চুলাসহ বিভিন্ন ব্যাসার্ধের পাইপ, রাইজার ও অবৈধ সংযোগে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। অভিযান পরিচালনার খবর পেয়ে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় অসাধু চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন বাসা বাড়ীর মালিকদের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা নিয়ে রাতের আঁধারে এসব অবৈধ সংযোগ প্রদান করে।

এসময় গাজীপুর তিতাস গ্যাসের (জোবিঅ-গাজীপুর) ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. সুরুজ আলম, উপব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মির্জা শাহনেওয়াজ লতিফ, প্রকৌশলী এস.এম আবু সুফিয়ান ও প্রকৌশলী মোশারফ হোসেন, সহকারী প্রকৌশলী কে.এইচ. ফয়সাল আহমেদ ও প্রকৌশলী শেখ জাবের নূরানী, উপ সহকারী প্রকৌশলী মজিবুর রহমান ও মোঃ সাবিনুর রহমান, রাজস্ব উপশাখার সহকারি কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন চৌধুরীসহ টেকনিক্যালটিমের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।