গাজীপুরস্থ ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় (ডুয়েট) এর ৪র্থ বর্ষের সমাপনী পরীক্ষার দাবিতে অনশন করেছে শিক্ষার্থীরা। বৃহষ্পতিবার সকাল হতে রাত ৭টা পর্যন্ত আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচী পালন করে। তাদের দাবী মেনে নেওয়া না হলে শীঘ্রই বৃহৎ আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষণা করার কথা জানান আন্দোলনরতরা। এর আগে বুধবারেও তারা একই দাবিতে বিক্ষোভ ও অবস্থান ধর্মঘট করেছে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায়, ডুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, আইপিই, কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সেশন শেষ হয়ে গেছে। গত বছরের নবেম্বর মাসে পরীক্ষা শেষ হয়ে ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে তা সম্ভব হয় নি। নিয়ম অনুযায়ী বিশ^বিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত একাডেমিক সূচি অনুসারে গত ২০ জানুয়ারি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশিত হয়। যেখানে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে স্ব-শরীরে পরীক্ষা শুরু হওয়া কথা ছিলো। কিন্তু গত ২২ ফেব্রুয়ারি সরকারি ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ ফেব্রুয়ারি বিশ^বিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কমিটির এক সভায় এ পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়।

যেহেতু শিক্ষার্থীরা পূর্বে চার বছরের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে ডুয়েটে ভর্তি হয়। সে অনুসারে পরবর্তীতে এ বিশ^বিদ্যালয়ে বিএসসি ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করতে আরো চার বছর লাগে। যেখানে অন্যান্য বিশ^বিদ্যালয়ের তুলনায় এ বিশ^বিদ্যালয়ে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করতে তিন বছর বেশি লেগে যায়। ফলে শিক্ষার্থীদের সরকারি চাকুরীতে প্রবেশের বয়স সীমা কমে যায়। তাই আগামী দুই মাসের মধ্যে ৪র্থ বর্ষের সমাপনী পরীক্ষা শেষ করতে না পারলে অনেকেই সরকারি চাকুরীতে আবেদনের সুযোগ হারাবে। তাই ৪র্থ বর্ষের সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠানের দাবীতে শিক্ষার্থীরা গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলনে নামে। দাবী মানা না হলে শীঘ্রই বৃহৎ আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।

এ বিষয়ে ডুয়েটের উপাচার্য ড. মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, আন্দোলনরত ছাত্ররা প্রজেক্ট থিসিস শুরু করেছে। অনেকেরই ইন্ডষ্ট্রিয়াল ট্রেনিং শুরু হওয়ার কথা, সেটাও শুরু করা হয়েছে। এই সময়টা যদি প্রজেক্ট থিসিস ও ইন্ডষ্ট্রিয়াল ট্রেনিং করে তাহলে একমাস সময় লেগে যাবে। এই সময়ের মধ্যে যদি তারা এই কাজটা করে এবং ২৪ মে থেকে পরীক্ষা শুরু হয় তবে তাদের খুব একটা অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তবে এ ব্যাপারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।