মুক্তাপানি ও বিভিন্ন কোম্পানীতে ভুয়া কর্মী নিয়ােগের নামে চার কোটি টাকা আত্মসাৎকারীকে গ্রেফতার করেছে রংপুর মেট্টোপলিটন ডিবি পুলিশ। শনিবার (২০ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে রংপুর মেট্টোপলিটন গোয়েন্দা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান।
গ্রেফতারকৃত তরিকুল ইসলাম (৪০) বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার দামগাড়া এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে।

উপ-পুলিশ কমিশনার জানান, গতবছরে মুক্তাপানি ও টিএমএফ (তরিকুল, মােতালেব, ফিরােজ) ট্রেডার্স লিমিটেড নামে কোম্পানীর ভুয়া এজেন্ট নিয়ােগের জন্য রংপুর বিভাগের লালমনিরহাট, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, গাইবান্ধা, জয়পুরহাট, বিরামপুরসহ বিভিন্ন উপজেলায় অফিস চালু করেন প্রতারক তরিকুল ইসলাম।
সহযােগীদের সহযােগিতায় মুক্তাপানি ও টিএমএফ (তরিকুল, মােতালেব, ফিরােজ) ট্রেডার্স লিমিটেড কোম্পানীর এজেন্ট নিয়ােগ দেওয়া হবে মর্মে পত্রিকায় ও বিভিন্ন সামাজিক যােগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলে রংপুর মহানগর সহ রংপুর বিভাগের ৬ শতাধিক ব্যক্তি মুক্তা কোম্পানির এজেন্ট ও কর্মী হওয়ার জন্য আবেদন করে।

এরপর প্রায় পাঁচ শতাধিক ব্যক্তির প্রত্যেকের নিকট থেকে ৫০ হাজার থেকে ৩ লক্ষ টাকা করে গ্রহণ করে গ্রেফতারকৃত তরিকুলসহ তার সহযােগীরা। এভাবে তরিকুল পর্যায়ক্রমে প্রায় চার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ঢাকায় পালিয়ে যায়।

গত জানুয়ারি মাসে তরিকুলের নামে ভুক্তভুগীদের প্রতারণার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৯ মার্চ উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) জনাব কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান এর নির্দেশনায় সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিবি) ফারুক আহমেদের নেতৃত্বে তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক জনাব এ বি এম ফিরোজ ওয়াহিদ, এসআই (নিঃ) গোলাম মোর্শেদসহ ডিবি পুলিশের একটি চৌকস দল বগুড়ার শিবগঞ্জের কালিতলা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক তরিকুলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। অভিযানে বগুড়া জেলা শিবগঞ্জ থানা সার্বিকভাবে সহায়তা করেন।প্রতারক তরিকুল ইসলাম বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চায়না কোম্পানীসহ বিভিন্ন বেনামী কোম্পানী এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তরে নিয়ােগ দেয়ার নামে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলেও জানান তিনি।সংবাদ সম্মেলনে সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিবি) ফারুক আহমেদ সহ ডিবি পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সুজন মহিনুল, বিশেষ প্রতিনিধি॥