লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বিএনপি’র বর্ধিত সভায় কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুকে রিসিভ করে নিয়ে যাবার সময় দুই গ্রুপেত মধ্যে হুড়াহুড়ি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। অপরদিকে সভা শেষে বিএনপি’র নেতারা চলে গেলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বর্ধিত সভার চেয়ার ও টেবিল ভাংচুর করে।

রোববার (২১ মার্চ) দুপুরে ওই উপজেলার বাসষ্টান্ড এলাকায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও বিএনপি নেতা মোশারফ হোসেনের বাড়িতে বর্ধিত সভা শেষে ছাত্রলীগের হামলার ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, ওই উপজেলায় বিএনপি’র বর্ধিত সভায় যোগ দিতে সড়ক পথে গাড়ি বহর নিয়ে আসেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাব্বি দুলু। এ সময় বাসষ্টান্ড এলাকায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে সাবেক এমপি জয়নুল আবেদীন সরকারের বড় ছেলে বিএনপি নেতা এম সায়েদুজ্জামান কোয়েলসহ তার সমর্থিত নেতা-কর্মীরাসহ দুলুকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেয়। এসময় আসাদুল হাবীব দুলু সাহেদুজ্জামান কোয়েলকে তার গাড়িতে উঠে নেতাকর্মীদের বর্ধিত সভাস্থলে যেতে বলেন। এরপর কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবীব দুলুর গাড়ি বহর নিয়ে যাবার সময় উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক মোশারফ হোসেন ও সদস্য সচিব আফজাল হোসেন মিয়া’র সমর্থিত নেতা-কর্মীর সাথে কোয়েল সমর্থিত নেতা-কর্মীদের হাতিহাতির ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষনিকভাবে কোয়েক গাড়ি থেকে নেমে সাবেক উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি শরিফুল ইসলামসহ সিনিয়র নেতাদের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত করেন। পরে উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক মোশারফ হোসেনের বাড়িতে বর্ধিত সভা হয়।

এ দিকে বর্ধিত সভা শেষে বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা পাটগ্রামের উদ্দেশ্যে চলে যান। এসময় পাশে আওয়ামীলীগ অফিস থেকে কিছু ছাত্রলীগ নেতাকর্মী বর্ধিত সভার চেয়ার টেবিল ভাংচুর করেন। এ সময় সাউন্ড সিস্টেমের এক শ্রমিককেও মারধর করা হয়েছে। এর গতকাল সাবেক যুবদল সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান সেলিমের বাসার সামনে বিএনপি বর্ধিত সভার আয়োজন করলে একই দিনে পাল্টা কর্মসুচীর ঘোষনা দেয় উপজেলা ছাত্রলীগ। ফলে ঐ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।

এ ঘটনায় বিএনপি নেতারা বলেন, রাতে ছাত্রলীগের কিছু ছেলে বর্ধিত সভার ব্যানার খুলে নিয়ে যায়। বর্ধিত সভা শেষে আমরা চলে গেলে সভার চেয়ার ও টেবিল ভাংচুর করে ছাত্রলীগ।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক পারভেজ হোসেন বলেন, ছাত্রদল আহবায়ক ছাত্রলীগ নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় তাকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ধাওয়া করলে ছাত্রদল নেতা রুবেল বিএনপি নেতা মোশারফ হোসেনের বাড়ির দিকে পালিয়ে যায়।

হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদলের এক নেতা ছাত্রলীগ নিয়ে বাজে মন্তব্য করলে উত্তেজনা দেখা যায়। এ সময় দুই একটি চেয়ার ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।