রাজধানীর দক্ষিণখানে আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম হান্নান ওরফে জাপানি হান্নানের শটগানের গুলিতে ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বুধবার (২৪ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চাঁদনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুর রশিদ (৪২) ওই এলাকার মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে। বড় ভাই হারুনুর রশিদের সঙ্গে রড ও সিমেন্টের ব্যবসা করতেন আব্দুর রশিদ।

হারুনুর রশিদ বলেন, জাপানি হান্নান আমার চাচাতো ভাইদের মারধর করছেন- এমন খবর পেয়ে ছোট ভাই আব্দুর রশিদ তার বাড়ির সামনে যান। এ সময় তার কাছে মারধরের ঘটনা জানতে চাইলে জাপানি হান্নান তার হাতে থাকা শটগান দিয়ে আমার ভাইয়ের মুখের বাম পাশে গুলি করেন। সঙ্গে সঙ্গেই আমার ভাই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে উদ্ধার করে দক্ষিণখান কেসি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের ছোট বোন বলেন, জাপানি হান্নানের ভয়ে এলাকায় সব মানুষ কথা বলতে পারেন না। সব সময় তিনি উগ্র মনোভাব নিয়ে এলাকায় চলাফেরা করেন। হত্যাকাণ্ডে জাপানি হান্নানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন নিহতের পরিবার।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণখান থানাধীন আশকোনায় ময়লার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র করে আজ দুপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাপানি হান্নান ও সোহেল রেজা গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয়পক্ষে গোলাগুলির ঘটনায় একজন নিহত ও একাধিক আহত হন। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আওয়ামী লীগ নেতা জাপানি হান্নানের শটগানের গুলিতে আব্দুর রশিদ নিহত হয়েছেন। খবর পেয়ে রশিদের পক্ষের লোকজন জাপানি হান্নানের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালান। এ সময় উভয়পক্ষে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। আগুন দিয়ে একটি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম হান্নান ওরফে জাপানি হান্নানসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল হক বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, স্থানীয় হান্নান ওরফে জাপানি হান্নান নিহত যুবককে লক্ষ্য করে দুই রাউন্ড গুলি ছোড়েন। প্রথম গুলিটি না লাগলেও দ্বিতীয়টি গিয়ে যুবকের মুখে লাগে। পরে ওই যুবককে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।’