রাজধানীর দক্ষিণখানে আব্দুর রশিদ নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার মামলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম হান্নান ওরফে জাপানি হান্নানের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অন্যদিকে একই আসামির অস্ত্র মামলায় এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া হত্যা মামলায় অপর সাত আসামির দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম আবু সাঈদ আসামিদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন- হান্নানের ছেলে মো. ইকরামুল ইসলাম, ভাই শফিকুল ইসলাম ইমরান, আল-আমীন প্রধান, জহুরুল ইসলাম রিপন, খোরশেদ আলম, মো. মোশারফ হোসেন ও মো. নুরুন নবী।

এর আগে জাপানি হান্নানসহ আটজনকে আদালতে হাজির করে হত্যা মামলায় প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণখান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজহারুল ইসলাম। অস্ত্র মামলায় একমাত্র আসামি হান্নানের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন আরেক তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণখান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাফিজুর রহমান।

বাদীপক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুল বাতেন, আবদুর রহমান প্রমুখ আইনজীবী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট পীযূষ কান্তি রায় রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন।

উল্লেখ্য, দক্ষিণখানের আশকোনা এলাকায় বালি ফেলাকের কেন্দ্র করে বুধবার দুপুরে স্থানীয় জাপানী হান্নান ও সোহেল রেজা গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। প্রকাশ্য দিবালোকে আব্দুর রশিদকে গুলি করে হত্যা করেন জাপানী হান্নান। এতে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে হান্নানের গাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। এ ঘটনায় আব্দুর রশিদের ভাই হারুন অর রশিদ দক্ষিণ খান থানায় জাপানী হান্নানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর জাপানী হান্নানসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

নিহত আব্দুর রশিদ রাজধানীর আশকোনার পানির পাম্পের পাশে ৪৩৪ নম্বর নিজ বাড়িতে থাকতেন। আগে তিনি গার্মেন্টস এক্সেসরিজের কারখানা পরিচালনা করতেন। সেটি বন্ধ করে তিনি বর্তমানে তার বাড়ি ও মার্কেট দেখাশোনা করছিলেন।